ভালো ব্যবহারের জন্য জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ২ জনকে খুন করল এক যুবক
রবিবার ভোরের দিকে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে দুই ব্যক্তিকে খুনের দায়ে। এর আগে খুনের চেষ্টার অপরাধে তার জেল হয়। যদিও ভালো ব্যবহারের কারণে সে কিছুদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল।
পুনে, ২৩ জানুয়ারি : রবিবার ভোরের দিকে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ সে পুরন্দর তালুকের বাসিন্দা দুই ব্যক্তিকে শনিবার সন্ধ্যায় খুন করেছে। মহারাষ্ট্রের পুনের বুন্দ গার্ডেন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।[হিন্দি সিনেমা 'দৃশ্যম' দেখে একই কায়দায় এক ব্যক্তিকে খুন বাবা-ছেলের]
অভিযুক্ত যুবকের নাম সন্তোষ গোবিন্দ কুমাওয়াত। সে হাদপসরের বাসিন্দা। গতবছরের অক্টোবরে সে পুনের ইয়েরওয়াড়া জেল থেকে ছাড়া পায়। খুনের চেষ্টার অভিযোগে ৭ বছরের সাজা হয়েছিল তার। তবে সুব্যবহার ও আচরণের কারণেই সন্তোষ আগেই জেল থেকে ছাড়া পায়।
গ্রেফতারের পরে সে জানিয়েছে, অনিল শিবারকর (৩২) ও মনীশ জগতপকে (৩৪) সে খুন করেছে। অনিলও পুলিশ রেকর্ডে অপরাধী বলে পরিচিত। আর মনীশ তার বন্ধু। পুলিশ জানিয়েছে, জেরার পরে সন্তোষকে পুনের গ্রামীণ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ঘচনার আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ রাইস গ্রামের এক বাসিন্দা তাঁর খামারবাড়ির কাছে একটি গাছের নিচে দুজন ব্যক্তি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিতসকেরা।
তদন্তে নেমে পুলিশ দুই ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে প্রথমে কোনও সূত্রই পাচ্ছিল না। শুধু একজনের হাতে ট্যাটুতে লেখা ছিল SA। এরপরই পুলিশ মৃত ব্যক্তির নাম অনিল শিবারকর বলে তদন্তে জানতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে মনীশের খোঁজও পেয়ে যায় পুলিশ।
এই অনিলের নামে পুলিশে ১৫টি আলাদা মামলা দায়ের করা ছিল। এদিকে সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে সন্তোষও দুটি খুন করে পুনে রেল স্টেশনে রয়েছে এবং সে পালানোর মতলব করছে। সঙ্গে সঙ্গে ভোররাতে পুলিশ গিয়ে রেলস্টেশন থেকে সন্তোষকে গ্রেফতার করে।
জেরায় সন্তোষ জানিয়েছে, জেলে থাকার সময়ে অনিলের সঙ্গে তার আলাপ হয়। সেই সন্তোষকে রাইস গ্রামে খাবার আমন্ত্রণ করে ডেকেছিল। খামারে বসে সন্তোষ, অনিল ও জগতপ তিনজনে মিলে মদের আসর বসায়। তবে সন্তোষ মদ খায়নি।
তার অভিযোগ, মদ খেয়ে অনিল ও জগতপ তাকে কটূক্তি করতে থাকে। তা শুনে রাগে উন্মত্ত হয়ে সন্তোষ অনিলের গলা কেটে ও জগতপকে মাথায় পাথরের আঘাত মেরে খুন করে সেই জায়গা থেকে পালিয়ে যায়।