কাশ্মীরি যুবকেরা দলে দলে যোগ দিচ্ছে জঙ্গি দলে, রিপোর্ট হাতে পেয়ে উদ্বিগ্ন সরকার
গত ৬ মাসে জম্মু-কাশ্মীরে যে পরিমাণ জঙ্গি নিকেশ হয়েছে তা অধিকাংশই স্থানীয়। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
গত ৬ মাসে জম্মু-কাশ্মীরে যে পরিমাণ জঙ্গি নিকেশ হয়েছে তা অধিকাংশই স্থানীয়। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে থেকে কাশ্মীরে জঙ্গি দমন নীতি নিয়ে কড়া মনোভাব জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে মোদী সরকার। সেকারণেই অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরেও আগে বৈঠক করেছেন কাশ্মীরের রাজ্যপালের সঙ্গে।
নিকেশ বহু জঙ্গি
পরিসংখ্যান বলছে গত ৬ মাসে কাশ্মীরে ১২১ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে বাহিনী। তার মধ্যে মাত্র ২১ জন পাকিস্তানি জঙ্গি। বাকিরা সকলেই কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ গত কয়েক মাসে যে পাকিস্তানি জঙ্গির থেকে কাশ্মীরি জঙ্গির সংখ্যা উপত্যকায় বেড়েছে প্রকাশ্যে এসেছে।
বেশিরভাগ ঘটনা দক্ষিণ কাশ্মীরে
বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলিবিনিময়ের ঘটনা বেশিরভাগই ঘটেছে দক্ষিণ কাশ্মীরে। ৩৬ জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে পুলওয়ামায়, ৩৪ জন সোপিয়ানে এবং ১৬ জন অনন্তনাগে নিকেশ হয়েছে। ২০১৯ সালে যে স্থানীয় যুবকদের জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখানোর প্রবণতা বিন্দুমাত্র কমেনি। সেটাই চিন্তা বাড়িয়েছে গোয়েন্দাদের।
স্থানীয়দের যোগ জঙ্গি সংগঠনে
গত ৬ মাসে প্রায় ৭৬ জন কাশ্মীরি যুবক জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে। তার মধ্যে ৩৯ জন যোগ দিয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনে। এবং ২১ জন যোগ দিয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদে। এরা বেশিরভাগই দক্ষিণ কাশ্মীরের বলে জানা গিয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে দক্ষিণ কাশ্মীরের একাধিক যুবক জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে। তার মধ্যে ২০ জন পুলওয়ামার, ১৫ জন সোপিয়ানের, ১৩ জন করে অনন্তনাগ এবং কুলগামের।
উদ্বিগ্ন সরকার
দক্ষিণ কাশ্মীরের এই পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে সরকারের। কেন দক্ষিণ কাশ্মীরের যুবকেরা জঙ্গি সংগঠনে বেশি করে নাম লেখাচ্ছে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কারণ অনুসন্ধান শুরু করে দিয়েছেন গোয়েন্দারা।