বিনোদের বিদ্রোহ, মমতার তোপ, সাঁড়াশি চাপে বিপর্যস্ত কেজরিওয়াল
তোপ আমআদমি পার্টিকে। তোপদার জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান মমতা শর্মা।
সাঁড়াশি চাপে পড়ে নাজেহাল হচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ক্ষমতায় বসে এত তাড়াতাড়ি যে সঙ্কটে পড়তে হবে, সেটা বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। বুধবার তাই দৃশ্যত বিধ্বস্ত মনে হয়েছে তাঁকে।
সাতসকালে প্রথম দুঃসংবাদ বিনোদকুমার বিন্নির বিদ্রোহ। দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে আমআদমি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। নির্বাচনে জিতে বিধায়কও হন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল যখন মন্ত্রিত্ব বণ্টন করেন, তখন বিনোদকুমার বিন্নির কপালে কিছু জোটেনি। ফলে, তখন থেকে ক্ষোভ ধূমায়িত হচ্ছিল। যদিও সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন, এ নিয়ে কোনও অসন্তোষ নেই। বিনোদকুমার বিন্নি নিজেই মন্ত্রিত্ব নিতে চাননি। সময় গড়াতে দেখা গেল, কেজরিওয়ালের দাবি সঠিক ছিল না। এই বিদ্রোহী বিধায়ক এদিন জানান, ক্ষমতায় আসার আগে আমআদমি পার্টি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা তারা পালন করছে না। মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। এ নিয়ে দলের অন্দরে মুখ খোলা যাচ্ছে না। তাতে কোপ পড়ার ভয় থাকছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, গতকাল দিল্লিতে এক ড্যানিশ মহিলার গণধর্ষণের ঘটনার জেরে দিল্লি সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান মমতা শর্মা। তিনি বলেছেন, দিল্লিতে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেও মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারেনি। এটা দুভার্গ্যজনক। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উচিত নারী নিরাপত্তাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া।
দু'টি বিষয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে চাননি। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এমন অভাবনীয় পরিস্থিতিতে পড়ে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।