ঘর ওয়াপসি , বৃষ্টির মধ্যে মাইলের পর মাইল হেঁটে উদ্ধবের বাড়ি ফেরেন বিদ্রোহী সেনা
Array
কেউ গিয়েছেন, কেউ আবার ফিরে এসেছেন। কেউবা মাঝপথে ফিরেছেন, কেউবা নিশিযাপন করে ফিরেছেন। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে মহানাটক ক্রমাগত চলছে। এই নিয়ে পর পর এমন দুই বিধায়কের খোঁজ মিলল যারা শিন্ডের দলে ভিরেও শেষে ঘরের ছেলের মতো ঘরে ফিরে এসেছেন।
তালিকায় নতুন নাম শিবসেনা বিধায়ক কৈলাস পাতিল। তিনি মারাঠাওয়াড়া অঞ্চলের ওসমানাবাদের বিধায়ক। পার্টির প্রবীণ নেতা একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের তালিকায় ছিলেন তিনিও , কিন্তু শেষে কিছু শিবসেনা ম্যাজিক মনে হয় কাজ করেছে। তাই 'বিপথে' যেতে যেতেও তিনি আবার ফিরে এসেছেন নিজের ঘরে। তিনিও মুখে অবশ্য বলছেন তাঁকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি শেষে বুঝতে পারে কোনওভাবে ফিরে এসেছেন।
পাতিলের মতে, বিদ্রোহী নেতাদের দল যখন সড়কপথে সুরাতের দিকে যাচ্ছিল, তখন ৪০ বছর বয়সী পাতিল বান্দ্রায় শিবসেনা প্রধান এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ফেরার জন্য মহারাষ্ট্র-গুজরাট সীমান্ত চেকপোস্টে রাতের অন্ধকারে গাড়ি থেকে নেমে যান। তিনি বৃষ্টির মধ্যে কয়েক কিলোমিটার হাঁটেন। এরপর একটি বাইকে চালকের খোঁজ পাম এবং এরপরেই তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এবং শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর তিনি সোজা ঠাকরেদের বান্দ্রার বাড়িতে পৌঁছান। তারপর তাঁকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছেন , "ভোট শেষ হওয়ার পরে, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ডিনার পার্টি দিয়ে থানে যাওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল। তারপর তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে সুরাতের পথে নিয়ে যাওয়া হয়। কৈলাস পাতিল বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটছিলেন। এরপর রাতের অন্ধকারে ও ফিরে আসে। "। পাতিল জানিয়েছেন, যখন কনভয়টি থানে শহর থেকে ঘোডবান্ডারে চলে যায় এবং পালঘর জেলার দিকে যেতে শুরু করে, পাতিল সন্দেহ করেন যে কিছু ভুল হয়েছে এবং তখনই তিনি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বিধায়ক নিতিন দেশমুখ, যিনি আগে বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডের সঙ্গে রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়েছিল, তাঁকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
নিতিন দেশমুখও দাবি করেন যে তাকে "অপহরণ" করা হয়েছিল এবং গুজরাটের সুরাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেখান থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, "আমি পালিয়ে এসেছ সুরাত থেকে এবং আমি রাত তিনটে থেকে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ছিলাম। কোনও একটা গাড়ি ধরে ফেরার ধরার চেষ্টা করছিলাম। তখনই শতাধিক পুলিশ এসে আমাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা আমার আমার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এমন কিছু সাজানোর চেষ্টা করে অথচ আমার শরীরে এসব কিছু হয়েইনি"।
ঘটনা হল এই দেশমুখের স্ত্রী'ই গতকাল স্থানীয় থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি বলেছলেন তাঁর স্বামী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। আজ তিনি ফিরে এসেছেন।