ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসতেই প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে সাসপেন্ড করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
ধর্ষণ ইস্যুতে একেবারে কড়া অবস্থান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। সিনিয়র আইএএস অফিসার জিতেন্দ্র নারাইনকে বহিস্কার করল অমিত শাহের মন্ত্রক। ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসতেই বড় পদক্ষেপ। সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জিতেন্দ্র
ধর্ষণ ইস্যুতে একেবারে কড়া অবস্থান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। সিনিয়র আইএএস অফিসার জিতেন্দ্র নারাইনকে বহিস্কার করল অমিত শাহের মন্ত্রক। ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসতেই বড় পদক্ষেপ। সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জিতেন্দ্র নারাইনকে বহিস্কার নিয়ে মন্ত্রকের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত জিতেন্দ্র আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মুখ্যসচিব হিসাবে একটা সময়ে কর্মরত ছিলেন। যদিও বর্তমানে দিল্লি ফাইন্যান্স কমিশনের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন জিতেন্দ্র। সম্প্রতি আন্দামানে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসে। আর সেখানে নাম জড়ায় জিতেন্দ্র নারাইনের।
শুধু তিনিই নয়, প্রাক্তন মুখ্য সচিব এবং শ্রম কমিশনার মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে আসে। সরকারি চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে আন্দামান পুলিশে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা রুজু করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এক অভিজ্ঞ পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে এই তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয় কেন্দ্রীয় শাসিত ওই অঞ্চলে। যদিও বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।
এই ঘটনায় এক পুলিশ আধিকারিকের নাম জড়িয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। গত ৩০ অগাস্ট এই সংক্রান্ত মামলাতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় বলে খবর। জানা যাচ্ছে, ১৯৯০ ব্যাচের আইএএস আধিকারিক জিতেন্দ্র নারাইন। ওই তরুণীর অভিযোগ ছিল, ওই দুই আধিকারিককের সঙ্গে চাকরির সূত্রে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
কিন্ত্য তাঁকে গন ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আর্থিক সমস্যার মধ্যে কাটাতে হচ্ছিল পরিবারকে। সেখানে একটা চাকরি তাঁর কাছে খুব প্রয়োজনীয় ছিল। সে জন্যেই ওই মহিলা গিয়েছিলেন বলে দাবি। আর সেখানে এমন ঘটনার স্বীকার যে হতে হবে তা কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি। তরুণীর অভিযোগ, আন্দামানে অন্তত ৭ হাজার প্রার্থীকে চাকরি দিয়েছিলেন নাকি জিতেন্দ্র নারাইন। কোনও রকম যোগ্যতা বিচার না করেই এই চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ফলে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে এই প্রশাসনিক কর্তার বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে ধর্ষণ কাণ্ডে ইতিমধ্যে ওই মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
Bharat Sanchar Nigam Limited-এ একাধিক পদে নিয়োগ, রইল বিস্তারিত খুঁটিনাটি