অ্যালোপ্যাথি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, গ্রেফতারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রামদেব
অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায়, চিকিৎসকদের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নিশানায় পড়েছিলেন যোগগুরু রামদেব। একাধিক থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করতে এবং সব পুলিশি মামলা বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন রামদেব।
কোভিড–১৯–এর দ্বিতীয় ওয়েভ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার পরই গতমাসে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় অ্যালোপ্যাথি ওষুধ কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কে জড়ান রামদেব। রামদেবকে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, 'অ্যালোপ্যাথি ওষুধের জন্য লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, এছাড়াও যাঁরা মারা যাচ্ছেন তাঁরা চিকিৎসা বা অক্সিজেনের অভাবে মরছেন।’ তিনি অ্যালোপ্যাথি ওষুধকে বোকা বোকা বিজ্ঞানও বলেন। যা শোনার পর গোটা দেশের চিকিৎসকরা তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন। আইএমএর বিভিন্ন শাখা রামদেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন, যে কারণে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয় গোটা দেশজুড়ে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুরোধে বাবা রামদেব প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেও, পালটা অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে গোটা পঁচিশেক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, অ্যালোপ্যাথি যদি এতই ভাল হবে, তাহলে চিকিৎসকরা মারা যাচ্ছেন কেন। অ্যালোপ্যাথি ২০০ বছরেও বহু রোগের ওষুধ তৈরি করতে পারেনি কেন? এরপরেই রামদেবের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করে আইএমএ–এর উত্তরাখণ্ড শাখা। একাধিক রাজ্যে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। তাঁর গ্রেফতারির দাবি ওঠে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
যদিও অ্যালোপ্যাথি বিতর্ক নিয়ে পতঞ্জলী যোগপীঠ ট্রাস্ট কোনও মন্তব্য করতে চাননি বরং তারা বলেছে যে রামদেবের বিবৃতিকে ভুলভাবে দেখানো হয়েছে। রামদেব চিকিৎসকদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা করেন। তবে আইএমএ প্রধান চিকিৎসক জে জালাল বলেছেন যোগগুরুর বিরুদ্ধে তাঁদের বলার কিছুই নেই। রামদেবের বক্তব্য কোভিড কোভিড ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে। রামদেবের প্রচুর অনুগামী। তাই তাঁর এ জাতীয় বক্তব্য মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। যদিও চলতি মাসের শুরুর দিকে রামদেব বলেছিলেন তিনি খুব তাড়াতাড়ি টিকা নেবেন। চিকিৎসকদের পৃথিবীতে ঈশ্বরের দূত হিসেবেও বর্ণনা করেছিলেন।