রাম মন্দিরের হাত ধরে নতুন ইতিহাস গেরুয়া শিবিরে! মোদীর নেতৃত্বেই আরও একটি প্রধান প্রতিশ্রুতি পূরণ
রাম মন্দিরের হাত ধরে নতুন ইতিহাস গেরুয়া শিবিরে! মোদীর নেতৃত্বেই আরও একটি প্রধান প্রতিশ্রুতি পূরণ
ইতিমধ্যেই ৫ই অগাস্টকে জাতীয় ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণার দাবি উঠেছে বিজেপির অন্দরেই। এদিনই আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত সহ একাধিক হিন্দুত্ববাদী নেতাদের উপস্থিতিরে অযোধ্যায় রাম মন্দিরে শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে এই দিনই গত বছর জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব করে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকরা।
২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেই একাধিক হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডাকে সামনে রেখে রাজনীতি
২০১৪ সালের প্রথম দফার পর ২০১৯ সালে দ্বিতীয় দফায় ফের ক্ষমতায় এসে একের পর হিন্দ্বুত্ববাদী এজেন্ডাকে সামনে রেখে রাজনীতি করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তিন তালাক ইস্যু হোক বা সিএএ, এনআরসি, প্রত্যেকবারই সংখ্যালঘুদের উপর ঘুরিয়ে নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেসব সমালোচনার তোয়াক্কা না করে মোদী ভক্তরা বলছেন এসবই সরকারের পূর্ববর্তী কথা অনুযায়ী প্রতিশ্রুতিপূরণেরই দায়বদ্ধতা।
রাজনীতির আঙিনা থেকেও রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় উপস্থিত দুই হিন্দুত্ববাদী নেতা
এদিকে এদিন অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর অনু্ষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের ৫০ জন খ্যাত নামা সাধু, আরএসএসের নেতা, বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষধদের নেতৃবৃন্দ। এদিকে এদিনের গোটা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে উপস্থিত থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই দুই জনতাই তাদের হিন্দুত্ববাদী ঘরনার রাজনীতির জন্য অতীতে একাধিকবার খবরের শিরোনামে এসেছেন। বিতর্কের কারণও হয়েছেন।
'রাম রথযাত্রায়' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন মোদী
উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯৯০ সালে রামমন্দির আন্দোলনের পুরোধা লালকৃষ্ণ আদবাণীর 'রাম রথযাত্রায়' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এদিকে যোগী আদিত্যনাথের গুরু মহন্ত অবৈদ্যনাথ রাম মন্দির আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৪ সালে আন্দোলন জোরদার করাবার জন্য তৈরি সাধু ও হিন্দু সংগঠনের নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি।
কি বলা হয়েছিল ২০১৯ সালের নভেম্বরের সেই ঐতিহাসিক রায়ে ?
এদিকে বিগত দুই দশকের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১৯ সালের ৯ই নভেম্বর অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চ ওই রায়ে জানায় অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি পাবে হিন্দু পক্ষ। অন্যদিকে সুন্নি ওয়াকিফ বোর্ডকে অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
'জয় শ্রীরাম!' অযোধ্যায় কয়েক শতকের অপেক্ষার অবসানের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী মোদীর