সমাজের অসুখ বাল্য বিবাহ রুখতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল রাজস্থান সরকার
বাল্য বিবাহ রুখতে অভিনব উদ্যোগ
অক্ষাতিজ উপলক্ষ্যে রাজস্থান সরকার দারুণ এক উদ্যোগ গ্রহণ করল। বাল্য বিবাহ রুখতে 'মেগা প্ল্যান’–এর প্রস্তুতি নিল এ রাজ্যের সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে বিয়ের কার্ডে বর–বধূর নাম প্রিন্টের পাশাপাশি তাদের জন্মের শংসাপত্র প্রিন্টিং প্রেসে ছাপার জন্য দিতে হবে। প্রসঙ্গত, দেশ উন্নতি ও আধুনিক হলেও এখনও কিছু কিছু রাজ্যে বাল্য বিবাহ প্রথা বর্তমান। বিশেষ করে রাজস্থানের মতো রাজ্যে আজও বাল্য বিবাহের কবলে পড়ে বহু শিশুর ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
১৪ মে অক্ষয় তৃতীয়া এবং তারপর এ বছরের ২৬ মে অক্ষাতিজ পালিত হবে। বাল্য বিয়ে রোখার জন্য সরকার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আদেশে বলা হয়েছে যে আইন ও বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধকরণ আইনের বিধানগুলির বৃহৎ আকারে বিজ্ঞাপন ও প্রচার করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে বলবেন বাল্য বিবাহ অপরাধ এবং তাদের এই বিবাহের বিরুদ্ধে ও আইন সম্পর্কে সচেতন করা উচিত অন্যদের। সরকার বাল্য বিবাহ রুখতে আধিকারিকদের পদক্ষেপ করতে বলেছে।
নির্দেশে এও বলা হয়েছে যে এই বিয়ের জন্য যারা দায়ি এবং বিয়েতে আগত অতিথিদের বিরুদ্ধেও আইনের আওতায় অভিযোগ দায়ের করা হবে। এই আদেশে ক্যাটারার্স, ব্যান্ড আয়োজক, পুরোহিত, তাঁবুর মালিক এবং বরের পক্ষ থেকে আসা অতিথিদেরও এই বাল্য বিবাহ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগ থেকে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে জেলা কালেক্টর, এসপি, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিকে।
প্রসঙ্গত, একবিংশ শতকেও রাজস্থানে বাল্য বিবাহ একটা জ্বলন্ত সমস্যা। সে রাজ্যে কোনও ভাবেই আটকানো যাচ্ছে না মধ্যযুগীয় এই সামাজিক অসুখটাকে। বিশেষ করে রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে এখনও মেয়েদের পুতুল খেলার বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থাকছে তারা। এ রাজ্যে তাঁবু, শামিয়ানা খাটিয়ে আর প্যান্ডেল বেঁধে ধুমধাম করে বাল্য বিবাহ রাজস্থানের চলতি রীতি। এর আগে রাজ্যের ৪৭ হাজার তাঁবু বা শামিয়ানা ডিলাররা জানিয়েছিলেন, কোনও বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রে তাঁরা আর তাঁবু সরবরাহ করবেন না। 'রাজস্থান টেন্ট ডিলারস কিরায়া ব্যবসা সমিতি’-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বর-কনের বার্থ সার্টিফিকেট না দেখে তাঁরা আর কোনও বিয়েতে এই সমস্ত সামগ্রী সরবারহ করবেন না।
বাবা ফারুক আবদুল্লার পর এবার করোনায় কাবু হলেন ছেলে ওমর আবদুল্লাহ