সর্বোচ্চ রেললাইনে নতুন প্রযুক্তির কোচ! লোকসভার আগেই বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের
ভারতীয় রেল এবার নতুন প্রযুক্তির কোচের ব্যবহার করতে চলেছে। বিলাসপুর-মানালি-লে লাইনের জন্য এই কোচের কথা ভাবা হয়েছে।
ভারতীয় রেল এবার নতুন প্রযুক্তির কোচের আনতে চলেছে। বিলাসপুর-মানালি-লে লাইনের জন্য এই কোচের কথা ভাবা হয়েছে। পাহাড়ে উচ্চতায় যাত্রীদের শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হতে পারে, এটা ভেবে অনেকটা বিমানের মতো বায়ুচাপ যুক্ত কোচ রাখা হবে। চিনের কুইংঘাই-তিব্বত লাইনে চিন এধরনের কোচ ব্যবহার করে। যা তৈরি করে কানাডার সংস্থা।
বিশ্বের সব থেকে বেশি উচ্চতায় রেললাইন পাততে চলেছে ভারতীয় রেল। আর তার জন্য বিশেষ প্রযুক্তির কোচের ভাবনাও চলছে। ট্রেন যখন চলবে, তখন যাত্রীদের যাতে শ্বাস প্রশ্বাসে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য এই বিশেষ প্রযুক্তির কোচের চিন্তা। জানিয়েছেন, উত্তর রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার(নির্মাণ)।
চিনের কুইংঘাই-তিব্বত লাইনে চিন এধরনের কোচ ব্যবহার করে। সেই কোচ তৈরি হয়েছে কানাডার বোম্ববার্ডিয়ার সংস্থায়। ওই সংস্থা ছোট বিমানও তৈরি করে।
উত্তর রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিব্বতের ট্রেনে অক্সিজেন মাত্রা ঠিক রাখতে দুধরনের পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়। প্রথম পদ্ধতিতে কোচের ভিতর অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখা হয়। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য আলাদা করে অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করা থাকে।
তবে এটা পরিষ্কার নয়, এই ধরনের কোচ ভারতেই তৈরি করা হবে, নাকি বাইরে থেকে তা আমদানি করা হবে।
মাদ্রাজের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে ইতিমধ্যেই সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। একদিকে যেমন মেট্রোর জন্য কোচ তৈরি করা হচ্ছে অন্যদিকে, আহমেদাবাদ-মুম্বই বুলেট ট্রেনের কোচ তৈরির জন্য প্রস্তুতি চলছে। এই জায়গাতেই বিলাসপুর-মানালি-লে লাইনের জন্য কোচ তৈরির কাজ হবে বলে, জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় রেলের এক অফিসার।
অধিক উচ্চতায় বাতাসের পরিমাণ কম থাকায় বিমানের ভিতরেই বাতাসের বন্দোবস্ত রাখা হয়। সাধারণত সমুদ্র-পৃষ্ঠ উচ্চতায় বাতাসের যে চাপ থাকে বিমানের মধ্যেও প্রায় সেই চাপ রাখার বন্দোবস্ত থাকে।
সমুদ্র-পৃষ্ট থেকে ৫৩৬০ কিমি উচ্চতায় ৪৬৫ কিমি রেললাইন পাততে চলেছে ভারত। যা ভারত-চিন সীমান্তে সেনাবাহিনীর তাড়াতাড়ি পৌঁছনোর ব্যাপারেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রেলপথ নির্মাণে প্রাথমিকভাবে খরচ ধরা হয়েছে ৮৩,৩৬০ কোটি টাকা।
এই লাইন তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলে, বিলাসপুর এবং লে-র মধ্যে হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন শহর যেমন সুন্দরনগর, মান্ডি, মানালি, কেলং, কোকসার, দারচা, উপসি, কারু-র মধ্যে যোগাযোগ সহজ হবে।
এই প্রোজেক্টে ৭৪ টি টানেল, ১২৪ টি বড় ব্রিজ, ৩৯৬ টি ছোট ব্রিজ তৈরি করতে হবে। প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষার পর এমনটাই জানা গিয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ের সমীক্ষার কাজ চলছে।