বর্ধিত রেলভাড়া তো কার্যকর হল, লজঝরে পরিষেবা শোধরাবে কি?

যেমন ধরুন, যশবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস। 'ভারতের সিলিকন ভ্যালি' ব্যাঙ্গালোরে প্রচুর বাঙালি ছেলেমেয়ে কর্মরত। প্রাণের টানে অনেকেই বছরে দু'-তিনবার বাড়ি যান। এমন অভিজাত ট্রেনেও পরিষেবা নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে। বারবার রেলকে বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয় না বলে অভিযোগ যাত্রীদের। 'অল্প' ভাড়ায় ভালো পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলে এতদিন অজুহাত দিচ্ছিল রেল। এ বার বেড়েছে ভাড়া। যশবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসের এসি টু-টিয়ার এবং এসি থ্রি-টিয়ারে ভাড়া বেড়ে হল যথাক্রমে ৩৬৩০ এবং ২৬০০ টাকা। আর স্লিপার ক্লাসে ভাড়া হয়েছে ১১১৫ টাকা। পাল্লা দিয়ে পরিষেবাও কি ভালো হবে?যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসে এসি টু-টিয়ার, এসি থ্রি-টিয়ার এবং স্লিপার ক্লাসে ভাড়া বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ২৮৩০, ১৯৩০ এবং ৭৪০ টাকা। এক্ষেত্রেও সেই পরিষেবা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সাধারণ যাত্রীদের।
হাওড়া-নয়াদিল্লি পূর্ব এক্সপ্রেসে এসি টু-টিয়ার, এসি থ্রি-টিয়ার এবং স্লিপার ক্লাসে ভাড়া বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ২২৯৫, ১৫৮৫ এবং ৬০৫ টাকা। কালকা মেলেও পড়ছে একই ভাড়া।
হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে এসি টু-টিয়ার, এসি থ্রি-টিয়ার এবং স্লিপার ক্লাসে ভাড়া বেড়ে হল যথাক্রমে ২৫২০, ১৭৩০ এবং ৬৬৫ টাকা। হাওড়া-মুম্বই গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে এসি টু-টিয়ার, এসি-থ্রি টিয়ার এবং স্লিপার ক্লাসে বর্ধিত ভাড়া দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২৮২০, ১৯৩০ এবং ৭৪০ টাকা।
রেলের লজঝড়ে পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। স্লিপার ক্লাসে দেখা যায় জানলার ফ্রেম আছে, কাঁচ নেই। ঠিকঠাক আলোও জ্বলে না। কিছু তথাকথিত সুপারফাস্ট ট্রেনে পাখা চললে এমন ঘরঘর শব্দ হয় যে, মনে হয় বুঝি হৃৎপিণ্ড এসে বুকে ধাক্কা মারছে! দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো অভিজাত ট্রেনে প্রায়শই দেখা যায়, চাদর-বালিশ তেল চিটচিটে চিমসে গন্ধওয়ালা। রাজধানী এক্সপ্রেসে পচা খাবার খেয়ে যাত্রীদের ভেদবমি শুরু হয়ে গিয়েছে, এমন নজিরও আছে। আর সাধারণ এক্সপ্রেস, মেল ট্রেনের কথা না হয় বাদই দেওয়া গেল! কখন গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছবে, তার জন্য ঈশ্বরই ভরসা!
আশা করা যায়, নতুন রেলমন্ত্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া এ বার পরিষেবার দিকে নজর দেবেন। রেলকর্তাদের মমি-সুলভ ঔদাসীন্য ঘোচাতেও তিনি সদর্থক ব্যবস্থা নেবেন বলে আশায় বুক বেঁধেছেন সাধারণ মানুষ।