৫৬ দিনের ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফিরলেন রাহুল গান্ধী, অভ্যর্থনায় সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কা
নয়াদিল্লি, ১৬ এপ্রিল : ৫৬ দিনের ছুটি কাটিয়ে অবশেষে ফিরছেন রাহুল গান্ধী। এই সময়সীমার মধ্যে তাঁর অনুপস্থিতি রাজনৈতিক মহলের অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল। রাহুলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎই বা কী তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। [(ছবি) বাজেট অধিবেশনে 'ছুটি' নিয়ে উত্তরাখণ্ডে রাহুল গান্ধী? দাবি অস্বীকার কংগ্রেসের]
কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্রামে যান। এতদিন বাদে রাহুলকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লিতে তাঁর সরকারি বাসভবনে পৌঁছে গিয়েছেন মা সোনিয়া গান্ধী ও বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া।
রাহুলের ফেরার খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মিডিয়ার একাংশ বুধবার রাত থেকেই তুঘলক লেনের বাংলোর সামনে ঘাঁটি গেঁড়েছেন।
রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে এমন বহু ঘটনাবহুল সময়েই রাহুল গান্ধীকে পাশে পায়নি কংগ্রেস, কারণ তিনি বিশ্রামের জন্য ছুটিতে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য জানা যায়নি কোথায় এতদিন ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন রাহুল। কংগ্রেসের তরফে দলের দ্বিতীয় ব্যক্তিকে রক্ষার্থে বলা হয়েছিল অন্তর্দর্শনের জন্য কিছুদিনের জন্য বিরতি নিয়েছেন রাহুল। একান্তে নিজের ভূমিকা এবং পার্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে রাহুল সিদ্ধান্ত নিতে চান বলেও জানানো হয়েছিল। [রাহুলের কড়া সমালোচনায় সাংবাদিক বীর সাংভী]
রাজনৈতিক মহলের ধারণা রাহুল গান্ধীর ফিরে আসার পর রবিবার বিশাল কৃষক সভাতেই দেখা যেতে পারে রাহুল গান্ধীকে। রাহুলের অনুপস্থিতিতে জমি বিলের বিরোধিতায় গত মাসে সোনিয়া গান্ধীকে রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিলে দেখা গিয়েছিল।
অনিচ্ছুক রাজনীতিবিদ বলে মাঝেমধ্যে রাহুল গান্ধীকে ব্যাখ্যা করা হলেও খুব শীঘ্রই মা সোনিয়া গান্ধীর পরিবর্তে দলের প্রধান হিসাবে দেখা যেতে পারে রাহুলকে। তবে এই লম্বা বিরতির ফলে দলের মধ্যেই রাহুলকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে নেতাকর্মীরা। দলের সম্পূর্ণ রাশ রাহুলের হাতে তুলে দেওয়া ঠিক হবে কি না সে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে দলেই। [এপ্রিলে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিতে পারেন রাহুল গান্ধী : সূত্র]
যদিও লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের কুৎসিত হারের পরই রাহুল অনীহার ঝলক দলের নেতাদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল। রাহুলের এই ছুটি সেই অনীহাকেই আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।