দেশের সীমান্ত কতটা সুরক্ষিত? মোদীর নিরাপত্তা বিতর্কে পাল্টা সওয়াল রাহুলের
দেশের সীমান্ত কতটা সুরক্ষিত? মোদীর নিরাপত্তা বিতর্কে পাল্টা সওয়াল রাহুলের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তায় ত্রুটি বিতর্ক নিয়ে এবার ময়দানে নামলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। টুইটে কংগ্রেস নেতা লিখেেছন, জাতিয় নিরাপত্তায় প্রবল গলদ রয়েছে সেটার কী হবে। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রাহুল গান্ধী টুইটে সওয়াল করেছেন, দেশের সীমান্তে যা ঘটছে তা দেেশর নিরাপত্তার পক্ষে যথেষ্ট বিপজ্জনক। সেটা নিয়ে কী কথা বলতে চাইবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
মোদীর নিরাপত্তায় গলদ
পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে কৃষকদের অবরোধের জেরে ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। তাই নিয়ো গোটা দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর গতিপথে বিক্ষোভ হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর মধ্যে নিরাপত্তায় ত্রুটি ছিল বলে বারবার দাবি করা হচ্ছে। পাঞ্জাব সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে নিরাপত্তায় গলদের অভিযোগ করা হয়েছে। বিজেপি একের পর এক অভিযোগ করে চলেছেন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে।
মোদীকে নিশানা রাহুলের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তায় গলদ নিয়ে যে শোরগোল পড়েছে গোটা দেশে এই নিয়ে পাল্টা নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। টুইটে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছেন তিনি। রাহুল গান্ধী লিখেছেন দেশের সীমান্তে অনেক কিছু ঘটছে যা জাতিয় সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক। সেটা নিয়ে কি কথা বলতে চাইবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের বিবাদ চলছে। একাধিক জায়গায় চিনের দখলদারির অভিযোগ উঠেছে। যদিও বারবার কেন্দ্রে পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি।
লাদাখ সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক
গত ২ বছর ধরে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে সংঘাত চলছে ভারতে। ১ জানুয়ারি চিনের সংবাদ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখানো হয়েছে যেখানে গালওয়ান উপত্যকায় চিনের পতাকা উড়তে দেখা িগয়েছে। আর চিনের জাতিয় পতাকায় নীচে দাঁড়িয়ে লালফৌজ সেদেশের জাতিয় সঙ্গীত গাইছেন। এমনই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। তারপরেই এই ভিডিও নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কংগ্রেসের তাবর নেতারা এই ভিডিও শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছিলেন।
রাহুলের বার্তা
গালওয়ান উপত্যকায় চিনের পতাকা ওড়ার ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জবাব তলব করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি টুইটে লিখেছিলেন দেশের সীমান্তে ঠিক কী ঘটছে তা নিয়ে দেশবাসীকে স্পষ্ট ধারনা দেওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন এই নিয়ে নিরব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। গতমাসে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত নিয়েও একই অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল। সেখানেও নাকি বেশ কিছু জায়গার নাম বদলে চিন নিজের ম্যাপের অংশ হিসেবে দেখিয়েছে। তারপরে বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল চিন চাইলেই হল যে জায়গা যেখানে অবস্থান করছে সেখানেই করবে। ভারতে এক ইঞ্জি জমিও চিন দখল করতে পারবে না।