'সত্য লুকানো সম্ভব নয়, একদিন সামনে আসবেই', বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে মোদীকে তোপ রাহুলের
বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র নিয়ে ইতিমধ্যে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার সেই বিতর্কে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কী বলছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গাকে নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা। ইতিমধ্যে এই তথ্যচিত্রের দেখানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। উস্কানিমুলক বলেও ব্যাখ্যা করেছে বিদেশমন্ত্রক। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী। বিতর্কিত এই তথ্যচিত্রটি সমর্থন করে তিনি বলছেন, সত্য কখনও লুকানো থাকে না। কোনও না কোনও সময়ে সত্যি সামনে আসবে বলেও দাবি কংগ্রেস সাংসদের।
'সত্যকে কোনও ভাবে আটকানো সম্ভব নয়'
ভারত জোড়ো যাত্রায় রয়েছেন রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্য পেরিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। আর সেখানেই সাংবাদিকদের একাধিক ইস্যুতে কথা বলেন রাহুল গান্ধী। আর সেখানেই তথ্যচিত্রটি বাতিল করা নিয়ে কথা বলেন তিনি। আর সেখানে রাহুল গান্ধী বলেন, আপনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মতো প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ বা ব্যবহার করতে পারেন, তবে সত্যকে কোনও ভাবে আটকানো সম্ভব নয় বলে দাবি কংগ্রেস নেতার। সত্য একদিন সামনে আসবেই। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে সাময়িক ভাবে মুখ বন্ধ করা যায়। কিন্তু সত্য বেরিয়ে আসবে বলেই দাবি রাহুলের।
কেন্দ্র বলছে উসকানিমূলক
বলে রাখা প্রয়োজন, ইন্ডিয়াঃ দ্য মোদী কশ্চেন নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বিবিসি। যেখানে গুজরাত দাঙ্গার সময়ের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। এমনকি এক সাংবাদিকের করা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে করা একটি প্রশ্নও সেখানে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিদেশমন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফ থেকে বিবিসির প্রকাশিত তথ্যচিত্রটি খতিয়ে দেখা হয়েছে। আর এরপরেই সমস্ত লিঙ্ক ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বিবিসি'র মতে, তথ্যচিত্রটি যথেষ্ট তথ্য নির্ভর। এমনকি গবেষণা করে তৈরি করা হয়েছে। আর এই বিতর্কের মধ্যেই রাহুল গান্ধীর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সমস্ত সিরিজ ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
বলে রাখা প্রয়োজন, বলে রাখা প্রয়োজন, ২০০২ সালে গোধরাতে তীর্থযাত্রী বোঝাই একটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আর তা থেকেই যাবতীয় সংঘাতের সূত্রপাত হয়। আর তাতে কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয় সেই ঘটনায়। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বিবিসির তথ্যচিত্র। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইউ টিউবকে বিবিসির সিরিজ ব্লক করার কথা বলা হয়। কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফ থেকে ইউটিউবকে বিশেষ এই নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানা যায়। অন্তত এমন ৫০ টি টুইট রয়েছে যাতে ওই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক আছে। সেই সমস্ত লিঙ্ক অবিলম্বে তুলে দেওয়ার কথা টুইটারকে বলা হয়েছে বলে খবর।
সেনা কী করে তা প্রমাণের কারও প্রয়োজন নেই, দিগ্বিজয়ের ব্যক্তিগত মত প্রসঙ্গে রাহুল