কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে আদানিকে 'স্বাগত', সমর্থন করছেন রাহুল গান্ধীও
অম্বানী ও আদানিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে মোদী সরকার। এই ভাষায় প্রায়ই আক্রমণ করে থাকেন বিরোধীরা। বিশেষত কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে একাধিকবার এই অম্বানী, আদানিকে নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে
অম্বানী ও আদানিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে মোদী সরকার। এই ভাষায় প্রায়ই আক্রমণ করে থাকেন বিরোধীরা। বিশেষত কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে একাধিকবার এই অম্বানী, আদানিকে নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে, তত বেশি জোরাল হচ্ছে এইসব আক্রমণ। কিন্তু সেই রাহুলের গলাতেই এবার অন্য সুর।
রাজস্থানে আদানিদের বিনিয়োগের পরই রাহুলের দাবি, এত টাকার বিনিয়োগ কোনও সরকারই ফেরাতে পারে না।
রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন আদানি কর্তা গৌতম আদানি। শুক্রবারই রাজস্থান সরকারকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এরপর শনিবারই রাহুল দাবি করেন, কোনও সংস্থাকেই আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না রাজস্থান সরকার। তাঁর মতে, কংগ্রেস কর্পোরেট সংস্থার বিরোধী নয়, তবে মনোপলি বা একাধিপত্যের বিরোধী।
রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, ৬০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন আদানি। কোনও মুখ্যমন্ত্রী এমন প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে আদানির ব্যবসায় কোনও সাহায্য করেননি।
রাহুল গান্ধী সবসময়েই দাবি করে থাকেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুধুমাত্র বড় ব্যবসায়ীদের সাহায্য করে থাকেন। বর্তমানে ভারত জড়ো যাত্রায় অংশ নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেই কর্মসূচী চলাকালীনই রাহুল বলেন, বিজেপি সরকার সব ব্যবসাই ২-৩ জনকে দিয়ে থাকে। আমি এর বিপক্ষে। যদি রাজস্থান সরকার আদানিকে ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম করে থাকে, তাহলে আমি তার প্রতিবাদ করব।
কিন্তু যদি নিয়ম মেনে সবটা হয়ে থাকে, তাহলে কোনও সমস্যা নেই। তাঁর দাবি, শিল্প বা ব্যবসার বিপক্ষে তিনি নন। অশোক গেহলট জানান, এ ভাবে আদানির বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদতে বিতর্ক তৈরি করতে চাইছে বিজেপি সরকার। কিন্তু তাঁর মতে, এর মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই। গেহলট জানান, গৌতম আদানি, মুকেশ অম্বানী বা অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ, শিল্প বা ব্যবসা যেই আনবেন, তাঁকেই স্বাগত জানাবে রাজস্থান সরকার।
কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কর্মসংস্থানই আসল উদ্দেশ্য। রাজ্যের মানুষ যাতে চাকরি পান, তার জন্য শিল্পের প্রয়োজন। তাই শিল্পপতিদের নিয়ে কোনও রাজনীতি করা হবে না বলেই বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস। আদতে রাজস্থান সরকারের সঙ্গে আদানিদের এই ব্যবসার খবরে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে। যে আদানিকে নিয়ে বারবার আক্রমণ করা হয়, তাঁকেই কংগ্রেস সুযোগ দিচ্ছে জেনে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতারা।