OROP প্রতিবাদে ফের পুলিশের হাতে আটক রাহুল গান্ধী, এই নিয়ে দু'দিনে তিনবার!
রামকিষাণ গ্রেওয়াল নামে এক প্রাক্তন সেনাকর্মীর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ফের যন্তরমন্তর থেকে পুলিশের হাতে আটক হলেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই নিয়ে দু'দিনে তিনবার।
নয়াদিল্লি, ৩ অক্টোবর : রামকিষাণ গ্রেওয়াল নামে এক প্রাক্তন সেনাকর্মীর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ফের যন্তরমন্তর থেকে পুলিশের হাতে আটক হলেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই নিয়ে দু'দিনে তিনবার পুলিশের হাতে আটক হলেন রাহুল। [OROP বিতর্ক : ফের আটক প্রতিবাদী রাহুল গান্ধী, সন্ধ্যার পর থেকে যেভাবে মোড় নিল বিতর্ক]
পুলিশের অবশ্য দাবি, রাহুলের নিরাপত্তার জন্যই তাঁকে আটক করা হয়েছে। রাহুল আসতেই ভিড়ি হুড়মুড়িয়ে এগিয়ে আসে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। এরপরই রাহুলকে আটক করে পুলিশ।
এদিন যন্তরমন্তর থেকে রাহুল গান্ধীকে পুলিশ আটক করা প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, "আমরা শুধু এটুকুই বলতে পারি এটা আর যাই হোক গণতন্ত্র নয়।"
২ নভেম্বর বুধবার প্রথমে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন তিনি। রাহুল গান্ধী হাসপাতালে পৌঁছলে তাঁকে ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরে রামকিষাণের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় কনট প্লেস এলাকা থেকে রাহুলকে দ্বিতীয়বার আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এক পদ এক পেনশন দাবিতে মঙ্গলবার দিল্লির একটি পার্কে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন ৭০ বছরের রামকিষাণ গ্রেওয়াল। এক পদ এক পেনশনের দাবিতে মঙ্গলবার দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পার্রিকরকে একটি স্মারকলিপি দেবেন বলে। রামকিষাণের পরিবারের দাবি, সে স্মারকলিপিতেই সুইসাইড নোট লেখেন রামকিষাণ। পরে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।