রাহুল-কেজরির 'কারসাজি'! মমতার প্রচেষ্টায় ধাক্কা
কংগ্রেসকে সরিয়ে রেখে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার চেষ্টা কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল। রাজনীতির একমহলের কটাক্ষ,দিল্লিতে নেমেই যে কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন মমতা,সেই কেজরিওয়ালই ধাক্কা দিলেন ফেডারেল ফ্রন্টকে
কংগ্রেসকে সরিয়ে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার চেষ্টা কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল। রাজনীতির একমহলের কটাক্ষ, দিল্লিতে নেমেই যে কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন মমতা, সেই কেজরিওয়ালই ধাক্কা দিলেন ফেডারেল ফ্রন্টকে। মোদী, অমিত শাহরাই ফেডারেল ফ্রন্টের নামে কংগ্রেসের নেতৃত্বে জোট ভাঙতে মরিয়া বলে দাবি করেছে কংগ্রেসের শীর্ষ মহলের একাংশ।
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিত সাতটি লোকসভা আসনের সবকটিই বিজেপির দখলে ছিল। ২০১৯-কে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই দিল্লির আসনগুলি নিয়ে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কথা এগিয়েছে রাহুলের দলের। কেজরিওয়ালের তরফে ২ আসন ছাড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। আরও একটি আসন নিয়ে কথা চলছে। সম্ভবত তৃতীয় আসনটি নিয়েও রাজি হয়ে যাবেন কেজরিওয়াল। আর তা হলে ফেডারেল ফ্রন্টকে এড়িয়ে সরাসরি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ার পথেই এগিয়ে যাবে কেজরিওয়ালের দল।
অন্যদিকে, ফেডারেল ফ্রন্টের সমর্থনকারীরা কংগ্রেসের সঙ্গে আসনরফার ব্যাপারে রাজি হলেও, কংগ্রেসকে ততটা শক্তিশালী দেখতে চান না। তাদের বক্তব্য, ভোটের আগে প্রচারে কিংবা পরে সরকারের গঠনের পরিস্থিতি তৈরি হলে, তার রাশ যেন কংগ্রেসের হাতে না থাকে। এদিকে লক্ষ্য রেখেই তাদের বক্তব্য, মোদী বিরোধী জোটে কংগ্রেস অচ্ছুত নয়। রাজ্য অনুযায়ী, প্রাদেশিক দলের শক্তিবৃদ্ধির সমর্থক এই সব নেতারা। যদিও এই মতের কড়া বিরোধী কংগ্রেস। কেননা মোদী বিরোধী ফ্রন্টের রাশ যে তারাই হাতে রাখতে চায়, সেকথা প্রকারন্তরে বুঝিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।
তবে আপের সঙ্গে সমঝোতা নিয়েও কংগ্রেসে দ্বিমত রয়েছে। এই সমঝোতার বিরোধী অজয় মাকেন থেকে শুরু করে শীলা দীক্ষিতের মতো নেতা-নেত্রীরা। অন্যদিকে, কোনও আসন না পাওয়ার থেকে সমঝোতা করে দু-তিনটি আসন হাসিল করার পক্ষে অশোক গেহলট থেকে শুরু করে আহমেদ প্যাটেলের মতো নেতারা।
শেষ পর্যন্ত মোদী বিরোধী জোট কিংবা ফেডারেল ফ্রন্টের গঠন কোন দিকে যায়, এখন সেটাই দেখার।