তিনদশক পরে আজ খুলছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার, এই ভাণ্ডার নিয়ে আজব তথ্য জানেন কি
পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের রত্নভাণ্ডার এদিন খুলছে ৩৪ বছর পরে। এর আগে ১৯৮৪ সালে শেষবার রত্নভাণ্ডার পরীক্ষা করে দেখেছিলেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের রত্নভাণ্ডার এদিন খুলছে ৩৪ বছর পরে। এর আগে ১৯৮৪ সালে শেষবার রত্নভাণ্ডার পরীক্ষা করে দেখেছিলেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। তারপর থেকে শুধু মন্দিরের লোকজনই এই রত্নভাণ্ডারের ভিতরে ঢুকেছেন ও দেখভাল করেছেন। এতদিন প্রশাসন ও আমজনতার কারও ভিতরে প্রবেশাধিকার ছিল না।
দ্বাদশ শতকে তৈরি
এদিন দ্বাদশ শতকে তৈরি পুরীর মন্দিরের রত্নভাণ্ডার পরিদর্শন করবে ১০ সদস্যের পরিদর্শক কমিটি। এদের মধ্যে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের দুজন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলে থাকছেন পুরীর রাজার প্রতিনিধিও।
৩৪ বছর পরে পরীক্ষা
রত্নভাণ্ডারটি এতদিন পরীক্ষা হয়নি। তার দেওয়াল কী অবস্থায় রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। ভিতরে থাকা রত্ন কতটা নিরাপদ সেটা দেখা হবে। তবে কত রত্ন রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে না।
গামছা পরে ঢুকতে হবে
পরিদর্শক দলকে গামছা পরে রত্নভাণ্ডারের মধ্যে ঢুকতে হবে। শরীরে অন্য কোনও কিছু রাখা যাবে না। বাইরে বেরনোর সময় তাদের পরীক্ষা করা হবে। সমস্ত সামগ্রী রত্নভাণ্ডারের বাইরে রেখে পরিদর্শকদের ভিতরে ঢুকতে হবে।
সুরক্ষার আলাদা ব্যবস্থা
রত্নভাণ্ডারের ভিতরে ঢুকে যাতে পরিদর্শকদের শ্বাসকষ্ট না হয় সেজন্য আলাদা করে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিতরে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার জন্যও আলাদা করে ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
রত্নভাণ্ডারের দুটি আলাদা চেম্বার
রত্নভাণ্ডারের মধ্যে দুটি আলাদা চেম্বার রয়েছে। এতটি ভিতর ভাণ্ডার ও অন্যটি বাহার ভাণ্ডার। এতদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জগন্নাথ দেব সহ সমস্ত বিগ্রহকে যে অলঙ্কার পরানো হতো তা বাহির ভাণ্ডার থেকে পরানো হতো। ভিতর ভাণ্ডারে বহুদিন কেউ ঢোকেননি।
ওড়িশা হাইকোর্টের নির্দেশ
ওড়িশা হাইকোর্ট গত মার্চ মাসে এএসআইকে নির্দেশ দেয় রত্নভাণ্ডার পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা করতে। তারপরই এদিন পর্যবেক্ষণের দিন ধার্য করা হয়েছে। গোটা ঘটনা ভিডিও করার কথা হয়েছিল। তবে সেইন পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।
সাপের পাহারা
পুরীর মন্দির নিয়ে নানা মিথ যেমন চালু রয়েছে, তেমনই রত্নভাণ্ডার নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। বলা হয়, অজস্র সাপ জগন্নাথ দেবের অলঙ্কার পাহারা দেয়। কেউ সেখানে ঢুকলেই সাপের হিসহিস আওয়াজ শুনতে পাবেন। ঘটনা হল ১৯৮৪ সালে যখন রত্নভাণ্ডার শেষবার পরিদর্শন করা হয় তখনও পরিদর্শকরা সাপের হিসহিস আওয়াজ শুনতে পান।