সেনার হাতে মার খেয়েই জঙ্গি দলে যোগ পুলওয়ামায় হামলাকারী আদিলের, দাবি পরিবারের
সিআরপিএফের কনভয়ে হামলা চালিয়ে ৪৪জন সেনাকে শহিদ করা আদিল দার জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি দলের হয়ে একাজ করে আত্মঘাতী হয়েছে।
সিআরপিএফের কনভয়ে হামলা চালিয়ে ৪৪জন সেনাকে শহিদ করা আদিল দার জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি দলের হয়ে একাজ করে আত্মঘাতী হয়েছে। মাত্র বছর খানেক আগেই সে জঙ্গি দলে যোগ দেয় বলেও জানা গিয়েছিল একটি ভিডিও সামনে আসার পরে।
তবে কীভাবে জঙ্গি দলে নাম লেখাল সদ্য কৈশোর থেকে যৌবনে পা দেওয়া আদিল। পরিবারের লোকজনদের দাবি, তিন বছর আগে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে খুব বাজেভাবে পিটুনি খেয়েছিল সে। তারপরই যে জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সেই সিদ্ধান্তই অল্পবয়সে তার প্রাণ নিয়ে নিল। কাশ্মীরে সেনার ওপরে অন্যতম ভয়ঙ্কর হামলা সে চালাল পাকিস্তানে বসে থাকা জঙ্গিদের মদতে, তাদের কথা শুনে। নিজের দেশের নাগরিকদের নির্বিচারে খুন করে সে নিজেও প্রাণ হারাল। বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে কনভয়ে ধাক্কা মারার সময়ই সে জানত এটাই তার জীবনের শেষদিন।
আদিলের বাড়ি কাশ্মীরের লেঠিপুরা গ্রামে। বাবা গুলাম হাসান দার বলেছেন, সেনার পরিবারের মতো আমরাও স্বজন হারানোর কষ্টে রয়েছি। ২০১৬ সালে আদিল ও তার বন্ধু স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। তখন পুলিশ তাদের আটকায়। তখনই তাদের মারধর করা হয়। আদিলদের পাথর ছুঁড়ে হামলাকারী বলে পুলিশ অভিযোগ করেছিল। সেজন্যই মারধর করা হয়। তারপর থেকেই আদিল জঙ্গি দলে যোগ দিতে চেয়েছিল।
আদিলের মা ফাহমিদাও একই কথা জানিয়েছেন। কয়েকবছর আগে সেনা-পুলিশের হাতে মার খাওয়ার পর ছেলের মনে সেনা সম্পর্কে রাগ জমে যায়। তবে ছেলে যে সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালাতে চলেছে এমনটা ঘুণাক্ষরেও তাঁরা জানতেন না বলে তিনি দাবি করেছেন।