ভোটের আগেই সম্ভাব্য ফল! ভুল করে ফাঁস 'পরিসংখ্যান' নেট দুনিয়ায় ভাইরাল
আর তর সইছে না। প্রতীক্ষার প্রহর কখন শেষ হবে, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। শেষ দফা ভোটের এখনও বাকি। কিন্তু এখন থেকেই সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
আর তর সইছে না। প্রতীক্ষার প্রহর কখন শেষ হবে, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। শেষ দফা ভোটের এখনও বাকি। কিন্তু এখন থেকেই সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে বুথ ফেরত সমীক্ষার দিকে তাকিয়ে সবাই। এমনই প্রতীক্ষার মধ্যেই জনপ্রিয় এক সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেল সম্ভাব্য ফলাফল।
ভোট শেষের আগেই সম্ভাব্য ফল!
রবিবার শেষ দফার ভোট দেশের ৫৯টি আসনে। তার দুদিন আগে শুক্রবার থেকে এক্সিট পোলের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সম্বাব্য ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। ভুলবশত ওই পরিসংখ্যান সম্প্রচার করা হয়েছে বলেই সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে।
পর্দায় ভেসে ওঠা পরিসংখ্যান
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯-এর সম্ভাব্য ফল- এনডিএ ১৭৭, ইউপিএ ১৪১ এবং অন্যান্যরা ২২৪। দেশের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের পর্দায় ভেসে ওঠা ওই ছবি তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে যায়। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। শেষ দফা ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।
কে ক'টা, ঘুরছে মোবাইলে
সম্ভাব্য ওই ফলাফল দেখে স্তম্ভিত বিজেপি ও কংগ্রেস নেতৃত্বও। শেষ দফা ভোটের আগে প্রচারে মোদি-শাহরা তখন প্রচার চালাচ্ছেন তাঁদের আসনসংখ্যা ৩০০ পার হয়ে গেছে বলে। আর তখনই ওই ছবি প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে মোবাইলে মোবাইলে। সম্ভাব্য ওই ফলাফল ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় সব শিবিরেই উদ্বেগ দানা বাঁধে।
ভোটের আগে ফাঁস আরও এক
ভোট শুরুর আগে এমনই এক সমীক্ষা রিপোর্ট ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তা আবার আরএসএস অন্তর্বর্তী সমীক্ষা। নাগপুর টাইমসে সেই রিপোর্টে যে সম্ভাব্য ফলাফল প্রকাশ পায়, তা বিজেপির পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল। এবার টিভি চ্যানেলের সঞ্চালক তখন ঘোষণা করছিলে এক্সিট পোল দেখানো হবে শেষ দফা ভোটের পর। তখনই টিভির পর্দায় ভেসে ওঠে ওই ছবি।
ডামি ফল, নাকি সত্যিই তাই
তবে ওই সংখ্যা নিছকই ডামি, নাকি ওটাই ওই চ্যানেলের এক্সিট পোলের সম্ভাব্য ফলাফল, তা স্পষ্ট হয়নি। এটা যে ভুলবশতঃ হয়েছে তা চ্যোনেল কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে। কিন্তু তার আগেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিও। রাজনৈতিক দলগুলির মতে এটি প্রভাব ফেলতে পারে ভোটদানে। সমস্ত রাজনৈতিক দলই তাই শেষ দফার আগে সতর্ক।