নোট বাতিলের বর্ষপূর্তি, মোদী সরকারের কাছে ৫টি প্রশ্ন রাখলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
নোট বাতিলের বর্ষপূর্তি, মোদী সরকারের কাছে ৫টি প্রশ্ন রাখলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
নোট বাতিল নিয়ে সরাসরি মোদী সরকারকে নিশানা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মোদী সরকারের কাছে ৫টি প্রশ্ন রেখেছেন তিনি। ২০১৬ সালে ৮ নভেম্বর অর্থাত আজকের দিনেই হয়েছিল নোট বাতিল। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তারপরেই দেশের কী পরিস্থিতি হয়েছিল তা সকলেরই জানা।
নোটবাতিল
২০১৪ সালে সরকার গড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার ঠিক ২ বছর পর ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছিল গোয়া দেশে। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাত ৮টার সময় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেদিন মধ্যেরাত থেকে গোটা দেশে বাতিল হয়ে গিয়েছিল ৫০০ এবং হাজার টাকার নোট। দিশেহারা অবস্থা হয়েছিল দেশবাসীর। মধ্যরাত থেকেই টাকা বদলের লাইনে দাঁড়িয়েছিল গোটা দেশ।
নাজেহাল সাধারণ মানুষ
মোদী সরকারের নোট বাতিলের জেরে গোটা দেশে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। রাতজেগে নোট বদলের জন্য লাইন দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের। নোটের লাইনে দাঁড়িয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে অনেক গরিবকেই। এই পরিস্থিতি প্রায় ৬ মাস ধরে চলেছিল গোটা দেশে। সবথেকে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গরিব মানুষের। গ্রামেগঞ্জের মানুষের কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়। সব গ্রামে ব্যাঙ্ক না থাকায় তাঁদের রাত থেকে শহরের বা নিকটবর্তী এলাকার ব্যাঙ্কে গিয়ে দীর্ঘ লাইন দিতে হয়েছিল।
মোদী সরকারকে প্রশ্ন
নোট বাতিলের বর্ষপূর্তি আজ। সেই নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী সরাসরি মোদী সরকারের কাছে ৫টি প্রশ্ন রেখেছেন। প্রথমেই তিনি জানতে চেয়েছেন নোট বাতিল যদি সফল হয় তাহলে কেন দুর্নীতি মুক্ত হল না ভারত? কালো টাকা কেন দেশে ফিরল না? ভারতীয় অর্থনীতি এখনও পর্যন্ত কেন ক্যাশলেস হল না? পর্যটনের কেন উন্নয়ন হল না? কেন দেশে জিনিসের দাম কমল না? এই নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
মোদী সরকারকে নিশানা
দুর্নীতি এবং কালো টাকা দেশে ফেরাতেই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু কংগ্রেস বারবার দাবি করেছে কয়েকজনের হাতে টাকা তুলে দিতেই মোদী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাতে আম জনতার কোনও সুরাহা হয়নি। কোনও রকম কালো টাকা দেশে ফেরেনি। কেবল মাত্র আম্বানি-আদানিরা আরও ধনী হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। যদিও মোদী সরকার বারবার তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।