রাহুল-প্রিয়াঙ্কার কাছে নতি স্বীকার যোগীর, পারদ চড়তেই মিলল হাথরাসে যাওয়ার অনুমতি
এদিন দ্বিতীয়বারের জন্যে হাথরাসের নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ভাই রাহুল গান্ধী। তবে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে পৌঁছাতেই ফের পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে পড়তে হয় তাঁদের। তবে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ।
রাহুল-প্রিয়াঙ্কা হাথরাসের পথে
এদিন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও কংগ্রেসের ৩০ জন সাংসদের একটি প্রতিনিধি দল হাথরাসের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। ছিলেন লোকসভার কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই দলের থেকে মাত্র পাঁচজনকে হাথরাসে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় শেষমেষ। এবং যোগীর উপর যে ক্রমেই চাপ আরও প্রবল হচ্ছে তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
'বুকে লাথি মারেন জেলাশাসক'
এদিকে গতকাল নির্যাতিতার এক ভাই খেতের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে আসে। সংবাদমাধ্যমকে জানায়, পরিবারকে কার্যত বন্দি বানিয়ে রেখেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এমনকী তাদের মোবাইল ফোনও নিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিমুহূর্তে চলছে হুমকি। বলে, 'তার কাকার বুকে লাথি মারেন জেলাশাসক। তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।'
অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করে স্থানীয় প্রশাসন
কিন্তু, দু'দিন পর সেইসব অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করে স্থানীয় প্রশাসন। হাথরসের যুগ্ম জেলাশাসক প্রেম প্রকাশ বলেন, 'সংবাদমাধ্যমকে সেই ছেলেটি যে কথা জানিয়েছে সব ভিত্তিহীন। যদি একটি বাচ্চা পালিয়ে আসতে পারে। তার অর্থ পরিবারের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। কোনও ফোন নিয়ে নেওয়া হয়নি।'
আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই ১৪৪ ধারা জারি
শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই নিরাপত্তা জারি করা হয়েছিল বলে দাবি করেন প্রেম প্রকাশ। বলেন, বিশেষ তদন্তকারী দল তদন্ত করছিল। তাদের তদন্ত শেষ হওয়ার পরেই সংবাদমাধ্যমকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই পাঁচজনের বেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি প্রবেশ করতে পারবেন না। পরবর্তী নির্দেশ এলে অন্যদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
হাথরাস ইস্যুতে বাংলা বনাম উত্তরপ্রদেশ, ডেরেকের 'অভিনয় প্রতিভা' নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির