মহাকাশে রকেট পাঠালেও, ইসরোর বিজ্ঞানীরা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন, দাবি প্রাক্তন আধিকারিকের
চাঁদ, মঙ্গলে পাড়ি দিচ্ছে ইসরোর মহাকাশ যান। প্রতিনিয়ত চলছে অঙ্ক কষা। এতো সব বৈপ্লবিক কাণ্ড ঘটানোর পরেও ইসরোর বিজ্ঞানীদের মনের কোনায় বাসা বেঁধে আছে কুসংস্কার। সেজন্যই তো চন্দ্রযান-২ পাঠানোর আগে তিরুপতি
চাঁদ, মঙ্গলে পাড়ি দিচ্ছে ইসরোর মহাকাশ যান। প্রতিনিয়ত চলছে অঙ্ক কষা। এতো সব বৈপ্লবিক কাণ্ড ঘটানোর পরেও ইসরোর বিজ্ঞানীদের মনের কোনায় বাসা বেঁধে আছে কুসংস্কার। সেজন্যই তো চন্দ্রযান-২ পাঠানোর আগে তিরুপতির মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন ইসরোর প্রধান। তাঁদের মনে ঘরে কোথাও না কোথাও অন্ধবিশ্বাস রয়ে গিয়েছে এমনই দাবি করেছেন ইসরোর এক প্রাক্তন আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, রাহু কালাম অর্থাৎ ভাঙা সংখ্যা দিয়ে কখনও কাউন্টডাউন শুরু করেন না ইসরোর বিজ্ঞানীরা। রাহু কালাম মানে রাহু গ্রহ। দেড় ঘণ্টা হচ্ছে এই গ্রহের সময়ের মাপ। কারণ এই সময় গোনার উপরেই নির্ভর করে মহাকাশে লক্ষ্যবন্তুতে পৌঁছনো। তাই কোনও ভাবে কোনও অশুভ সংখ্যা দিয়ে গননা শুরু করেন না ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
যাতে অভিযান সফল হয় সেকারণে রকেট বা যানের একটি প্রতিলিপি নিয়ে িগয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতির মন্দিরে পুজো িদয়ে আসেন ইসরোর প্রধান। এটাই নাকি রীতি। পুজো িদয়ে দেবতার আশির্বাদ প্রার্থনা করেন একজন বিজ্ঞানী। এছাড়াও শ্রীহরি কোটার কয়েকটি মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করে আসেন ইসরোর অন্যান্য বিজ্ঞানীরা। যদিও এই নিয়ে ইসরোর প্রধান জানিয়েছিলেন, এটা যাঁর যাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে।
১৩ সংখ্যাটিকে অশুভ মনে করেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সেকারণেই পোলার স্যাটালাইল লঞ্চ ভেহিকল িস-১২ এর পরেই পিএসএলভি-১৪ নাম রাখা হয়েছে। ১৩ নম্বর সংখ্যাটি সেখানে একেবারেই লুপ্ত। অ্যাপোলো-১৩ চাঁদে অবতরণ ব্যর্থ হয়েছিল। সেকারণেও আরও বেশি করে এই সংখ্যাটিকে অশুভ বলে মনে করেন তাঁরা।
এছাড়াও মঙ্গলবার দিনটিতে শুভ বলে মনে করেন না তাঁরা। সেকারণেই মঙ্গলবার কোনও অভিযানের দিন ঠিক করা হয় না। এই প্রথম চন্দ্রযান-২য়ের অভিযানের দিন মঙ্গলবার রাখা হয়েছিল।