মনমোহনের সরকার ভারতীয় অর্থনীতিকে মেরে ফেলেছিল, রাখ ঢাক না করে আক্রমণ শানালেন মোদী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোনও রাখঢাক না রেখে আক্রমণ করলেন ইউপিএ সরকারকে, বললেন মনমোহনের সরকার অর্থনীতিকে মেরে ফেলেছিল।
২০১৯-এই পরের লোকসভা ভোট। একন থেকেই বিরোধীদের নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোনও রাখঢাক না রেখেই সরাসরি আক্রমণ করলেন উইপিএ সরকারকে। খোলাখুলি বললেন মনমোহনের সরকার ভারতীয় অর্থনীতিকে মেরে ফেলেছিল। তাঁর সরকার সঞ্জীবনী দিয়েছে।
জিএসটি লাগু হওয়ার এক বছরের মাথায় দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মোদী বলেন, '২০১৪ সালে বিজেপির প্রচারের অন্যতম দিক ছিল এক অর্থনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রী ও এক সবজান্তা অর্থমন্ত্রীর আমলে ভারতীয় অর্থনীতির অব্যবস্থা। সবাই জানত ভারতের অর্থনীতি মৃতপ্রায়।'
তিনি জানান অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি বিজেপি তুলতেই পারত। কিন্তু দেশের স্বার্থে তারা এনিয়ে রাজনীতি করেননি। কারণ সেসময় একের পর এক শিল্প দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছিল। 'ব্রিকস' সদস্যরা ধরে নিয়েছিল ভারতের পতন ঘটতে চলেছে। দেশের মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। সেসময় শ্বেতপত্র প্রকাশ হলে ক্ষতি বাড়ত বই কমত না।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেন মোদী। ভারত এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বড় অর্থনীতি। ভারতে এই মুহুর্তে বিদেসী লগ্নি সর্বকালের সেরা। জিএসটি কর ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক সংস্কার এনেছে। সবচেয়ে বড় কথা সর্বকালের মধ্যে দেশে ব্যবসা করা সহজ হয়েছে।
এসত্ত্বেও বিরোধীরা অভিযোগ করে প্রতিশ্রুতি মতো মোদীর আমলে দেশে কর্মসংস্থান হয়নি। এবিষয়ে প্রদানমন্ত্রীর দাবি, 'কর্মসংস্থানের অভাব নেই, অভাব আছে কর্মসংস্থান বিষয়ে তথ্যের'। তিনি জানান, এখন অবধি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড ফান্ড অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের হিসেব করা হয়। কিন্তু এতে শুধু আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্তানের তথ্যই পাওয়া যায়। অনানুষ্ঠনিক কর্মসংস্থানের কোনও খবর এতে থাকে না। প্রধানমন্ত্রী জানান, আগে দেশের প্রচলিত কর্মসংস্থানের হিসেব নেওয়ার পদ্ধতি পাল্টাতে হবে। কারণ নতুন ভারতের নতুন অর্থনীতিতে নতুন ধরনের চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে।