৩০ বছরের যাত্রা শেষে অন্তিম সফরে ভারতীয় নৌসেনার গর্ব আইএনএস বিরাট
৩০ বছরের ঐতিহাসিক যাত্রা শেষে অবশেষে অন্তিম সফরে বেরোল ভারতীয় নৌসেনার গর্ব আইএনএস বিরাট। একটানা ৩০ বছর ভারতীয় নৌসেনাকে যোগ্য সঙ্গত দেওয়ার পর ২০১৭ সালে বাতিলের তালিকায় নাম ওঠে বিরাটের। তারপরেই তা বিক্রির জন্য নিলামও ডাকা হয় সরকারের তরফে।

শনিবার অর্থাৎ ১৯শে সেপ্টেম্বর অবশেষ শেষ যাত্রায় বেরোল আইএনএস বিরাট। মুম্বই থেকে গুজরাতের ভাওয়ানগরের শ্রী রাম গ্রুপের জাহাজ ভাঙার কারখানায় নিয়ে যাওয়া হল এই বিখ্যাত রণতরীকে। জাহাজটি ভাঙার পর লোহা পাওয়া যাবে তার ১০ শতাংশ দেশীয় ইস্পাত সংস্থাগুলিকে কম দামে সরবরাহ করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। তা দিয়ে উচ্চমানের মোটসাইকেল তৈরিও সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রের খবর, বর্তমানে মুম্বই থেকে গুজরাতের আলাং জেলা অবধি নিয়ে যাওয়া হবে আইএনএস বিরাটকে। সময় লাগবে তিনদিন। গোটা জাহাজটি ভাঙতে সময় লাগবে ৯ থেকে ১২ মাসের মতো সময়। সূত্রের খবর অনুয়ায়ী, রবিবার রাতে ভাওয়ানগরে পৌঁছে যাবে আইএনএস বিরাট।
১৯৫৯ সালে প্রথম ব্রিটিশদের নৌবাহিনী রয়্যাল নেভি-তে আসে এই যুদ্ধ জাহাজ। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সাল থেকে তা যোগ দেয় ভারতীয় নৌবাহিনীততে। এদিকে কার্গিল যুদ্ধের সময়ও পাকিস্তানকে ঠেকাতে বড় ভূমিকা নেয় আইএনএস বিরাট। সেই সময় করাচি বন্দরের উপরে কড়া নজরদারিতে মোতায়েন ছিল এই প্রবল পরাক্রমশালী রণতরী।
সূত্রের খবর, গত বছরের শেষে আইএনএস বিরাটের জন্য নিলামের আয়োজন করা হলেও তাতে কাউকেই বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। কেনা তো দূর সংরক্ষণের জন্যও আগ্রহ প্রকাশ করেও সংস্থা। পরবর্তীতে দীর্ঘদিনের টালবাহানা শেষে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এটিকে ভাঙার জন্য একটি টেন্ডার ডাকা হয়। সেখানেই ৩৮.৫৪ কোটির মূল্যে এই বিখ্যাত রণতরী ভাঙার কাজ পায় ভাওয়ানগরের শ্রী রাম।