রাহুলকে পরিবার খোঁটা! ২০১৯-এর লক্ষ্যে গরিবি ইস্যুই হাতিয়ার মোদীর
তাঁর পূর্বসূরি কংগ্রেস সরকার দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে মনযোগী ছিল না। দারিদ্র দূরীকরণের নামে তারা মনযোগী ছিল একটিমাত্র পরিবারের প্রচার নিয়ে।মহারাষ্ট্রে এমনটাই অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
তাঁর পূর্বসূরি কংগ্রেস সরকার দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে মনযোগী ছিল না। দারিদ্র দূরীকরণের নামে তারা মনযোগী ছিল একটিমাত্র পরিবারের প্রচার নিয়ে। মহারাষ্ট্রে এমনটাই অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পূর্ববর্তী সরকার এবং তাঁর সরকারের পার্থক্য তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, গরিবদের আবাসের জন্য বর্তমানে কাজ হচ্ছে দ্রুতগতিতে।
মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের শিরদিতে সাইবাবার মন্দিতে প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সব ধরনের বিরোধী শক্তিকে পরাস্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার চারবছরে গরিবদের জন্য ২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি করেছিল। আর তার সরকার গত চারবছরে ১.২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি করেছে। এমনটাই দাবি করেছেন মোদী।
দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে অর্থাৎ ২০২২ সাল নাগাদ তাঁর সরকার সব গৃহহীনদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মহারাষ্ট্রের কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সাহায্যপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে চাবিও তুলে দেন তিনি।
মোদী দাবি করেন, গত চারবছরে বস্তিবাসীদের জন্য সঠিক বাড়ি তুলে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। আগেও সরকারি পর্যায়ে চেষ্টা হয়েছে। তবে তখন গরিবদের হাতে বাসস্থান তুলে দেওয়ার বদলে একটিমাত্র পরিবারের নাম তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভোটব্যাঙ্ক তৈরির লক্ষেই এই কাজ করা হয় বলে অভিযোগ তাঁর। কোনও নাম না করে এইভাবেই কংগ্রেসের সমালোচনা করেন তিনি।
মোদী দাবি করেন, একটি বাড়ি তৈরি করে দিতে যেখানে পূর্বতন সরকার ১৮ মাস লাগাত সেখানে তাঁর সরকার তা তৈরি করতে ১২ মাস সময় নিচ্ছে। যদি আগেকার ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকত তাহলে ১.২৫ কোটি বাড়ি তৈরি করতে ২০ বছর সময় লাগত বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, আগের সরকারের থেকে বাড়ি তৈরি করতে শুরু সময় কম লাগাই নয়, আরও বড় আকারের বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। আর সাহায্য ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১.২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে।
কারা সুবিধা পাবেন, তা খুব স্বচ্ছ ভাবেই করা হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। আর টাকাটা সরাসরি চলে যাচ্চে উপকৃতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
অনুষ্ঠানে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্প শুরু করার একমাসের মধ্যে একলক্ষের বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পে ৫০ কোটি গরিব মানুষ উপকৃত হবেন। চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাঁরা সুবিধা পাবেন।