বিজেপি'র দ্রৌপদী মুর্মু Vs বিরোধীদের যশবন্ত সিনহা! জানেন দুজনেরই রয়েছে ঝাড়খন্ড যোগ
ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। গতকাল অর্থাৎ ২০ জুন ৬৪ বছরের দ্রৌপদীর জন্মদিন ছিল। আর এরপরেই বড় খবরটি পাওয়া।
Presidential Election 2022: ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। গতকাল অর্থাৎ ২০ জুন ৬৪ বছরের দ্রৌপদীর জন্মদিন ছিল। আর এরপরেই বড় খবরটি পাওয়া।
যদি দেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়ে যান দ্রৌপদী তাহলে তিনিই হবে দেশের প্রথম আদিবাদী রাষ্ট্রপতি। শুধু তাই নয়, প্রতিভা পাটিলের পর দ্বিতীয় মহিলা হিসাবে দেশের রাষ্ট্রপতি হবেন।
Congratulations Smt #DraupadiMurmu on being announced as candidate of NDA for the country’s highest office. I was delighted when Hon’ble PM @narendramodi ji discussed this with me. It is indeed a proud moment for people of #Odisha.
— Naveen Patnaik (@Naveen_Odisha) June 21, 2022
ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল ছিলেন
ওডিশা'র সাঁওতাল পরিবার থেকে উঠে দ্রৌপদী মুর্মু ছয় বছর একমাস পর্যন্ত ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল ছিলেন। সহজ স্বভাবে'র দ্রৌপদী রাজনীতি'র জগতের মানুষের কাছে খুবই পরিচিত একটা মুখ। কাউন্সিলার হিসাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু। এরপর দীর্ঘদিন ওডিশাতে বিধায়ক হিসাবেই কাজ করেছেন। তিনি ওড়িশায় বিজেপি এবং বিজেডি জোট সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। আর তাই মুর্মুর নাম ঘোষণার পরেই শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।
যশবন্ত সিনহার সঙ্গেও রয়েছে ঝাড়খন্ড যোগ
যশবন্ত সিনহা। রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে তিনিও আছেন। দ্রৌপদীর মতো প্রাক্তন বিজেপি নেতার সঙ্গেও রয়েছ ঝাড়খন্ড যোগ! ভাবছেন তো কি? যশবন্ত সিনহা ঝাড়খন্ড থেকে সাংসদ ছিলেন। তিনি ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবার একজন আধিকারিকও ছিলেন। ৮৪ বছরের বর্ষীয়ান এই নেতাকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছে বিরোধীরা। অনেকগুলি অঙ্কে তাঁকে বিরোধী শিবির থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বিজেপিতে তিনি বিদ্রোহী ছিলেন মোদী-শাহের আমলে। এমন অনেকেই রয়েছেন এখনও সে দলে যারা মোদী-শাহকে পছন্দ করেন না। ফলে সেই বিদ্রোহী নেতাদের ভোট যশবন্ত সিংয়ের দিকে আসতে পারে বলে মনে করছে বিরোধীরা।
এক নজরে যশবন্ত সিনহা-
বিহারে জন্ম এবং বিহার ক্যাডারে আইএএস আধিকারিক হিসাবে কাজ শুরু করলেও ১৯৮৪ সালে তা ছেড়ে দেন। আর এরপরেই বিজেপিতে যোগ। বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর তাঁকে খুবই পছন্দ করতেন। শুধু তাই নয়, স্পষ্টবাদী হিসাবেও তাঁর পরিচয় ছিল। এরপরেই ভোটে'র ময়দানে নামা। এবং ১৯৯৮ সালে হজারিবাগ থেকে লোকসভা ভোট জেতা। আর এরপরেই মন্ত্রী হিসাবে কাজ শুরু। ২০০২ সাল পর্যন্ত সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন যশবন্ত সিনহা। এবং পরে বিদেশমন্ত্রী হিসাবেও কাজ করেছেন।