২০২৪-এ বিজেপিকে হারানো সম্ভব! উপায় বাতলে দিলেন প্রশান্ত কিশোর
প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) পরামর্শে তৃণমূল (Trinamool Congress) ঝাঁপিয়েছে ত্রিপুরা, গোয়া, মনিপুরে। তবে শেষদুটি রাজ্যের জনমত সমীক্ষাগুলিতে সেরকমভাবে উঠে আসতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল। এখন অপেক্ষা ফলাফলের। ত
প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) পরামর্শে তৃণমূল (Trinamool Congress) ঝাঁপিয়েছে ত্রিপুরা, গোয়া, মনিপুরে। তবে শেষদুটি রাজ্যের জনমত সমীক্ষাগুলিতে সেরকমভাবে উঠে আসতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল। এখন অপেক্ষা ফলাফলের। তবে সেই প্রশান্ত কিশোর দাবি করছেন, ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে (BJP) হারানো সম্ভব। যদিও এর মধ্যে বেশ কিছু যদি কিন্তুর কথাও তিনি বলেছেন।
বিজেপিকে পরাজিত করা সম্ভব
বিজেপিকে পরাজিত করা সম্ভব, বলেছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেছেন, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরতে হবেই, সেটাই গণতন্ত্রের নিয়ম। তবে তাদেরকে সরাতে গেলে ৫-১০ বছর টানা প্রচেষ্টা থাকতে হবে। সেটা হঠাৎ করে সম্ভব নয়। তবে ২০২৪-এও বিজেপিকে পরাজিত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। তবে বর্তমান যেসব জোট রয়েছে, তাতে বিজেপিকে পরাজিত সরা সম্ভব নয়। এগুলির মধ্যে রেশ কিছু অদল-বদলের কথা বলেছেন তিনি।
২০২৪-এ হারতে পারে বিজেপি
৫ রাজ্যে ভোট। যার মধ্যে বেশির ভাগ আসনে বিজেপি জয়ী হলেও, ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি হারতে পারে। বলেছেন প্রশান্ত কিশোর। এব্যাপারে তিনি ২০১২ সালে রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন ২০১২ সালে উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে অখিলেশ যাদব ক্ষমতায় আসেন। কংগ্রেস দখল করেছিল উত্তরাখণ্ড। অন্যদিকে মনিপুরও কংগ্রেস দখল করে। পঞ্জাব দখল করেছিল সেই সময় বিজেপির সঙ্গে থাকা অকালি দল। সেই পরিস্থিতিতেও ২০১৪-র নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসে।
বিরোধী ব্লক তৈরির চেষ্টা করেছেন
তিনি নিজে কোনও ব্যক্তি কিংবা দলকে হারাতে চান না। তবে দেশে শক্তিশালী বিরোধী শক্তির পক্ষপাতী তিনি। এক সর্ব ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, তিনি নিজে একটি বিরোধী ব্লক তৈরির চেষ্টা করছেন, যা কিনা ২০২৪-এ বিজেপি পরাজিত করতে পারে।
বিজেপিকে হারাতে বাড়াতে হবে সামাজিক ভিত্তি
সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, উত্তর প্রদেশে বিজেপির মতো শক্তির সঙ্গে লড়াই করতে গেলে রাজনৈতিক দলগুলিকে সামাজিক ভিত্তি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি সম্মিলিত বিরোধী শক্তি তৈরি করতে হবে। তাদেরও সামাজিক ভিত্তি বড় হতে হবে। বিরোধীদের দিকে যাদব নন এমন ওবিসি থেকে শুরু করে দলিত কিংবা এগিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীগুলিকেও টেনে আনতে হবে।
জোটের অদল-বদলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে
প্রশান্ত
কিশোর
বলেছেন,
তুমুল
জনপ্রিয়তার
সময়েও
বিজেপি
বিহার,
পশ্চিমবঙ্গ,
ওড়িশা,
তেলেঙ্গানা,
অন্ধ্রপ্রদেশ,
তামিলনাড়ু
এবং
কেরলের
২০০
আসনের
মধ্যে
মাত্র
৫০
টি
আসন
দখল
করতে
পেরেছিল।
কিন্তু
বাকি
৩৫০
টি
আসনের
অধিকাংশ
জয়
করে
বিজেপি
ক্ষমতায়
আসে।
২০২৪-এ
বিজেপি
বিরোধী
লড়াইয়ের
লক্ষ্যে
কংগ্রেস
কিংবা
তৃণমূল
কিংবা
অন্য
যেকোনও
দলের
উচিত,
তাদের
জোটকে
পুনর্গঠন
করা।
তাহলে
কিছুটা
সুফল
মিলতে
পারে
বলে
জানিয়েছেন
প্রশান্ত
কিশোর।
তাহলে
বিরোধীরা
২০০
আসনের
মধ্যে
অন্তত
১০০
আসনে
জয়
পেতে
পারে।
সেক্ষেত্রে
বর্তমানে
লোকসভায়
বিরোধীদের
আসন
সংখ্যা
বেড়ে
২৫০
থেকে
২৬০-এ
পৌঁছে
যেতে
পারে।
এরপর
উত্তর
ও
পশ্চিম
ভারতে
আরও
অন্তত
১০০
আসন
জয়ের
দিকে
নজর
দিতে
পারলে
বিরোধীরা
নির্দিষ্ট
লক্ষ্যে
পৌঁছে
যেতে
পারবে
বলে
মনে
করেন
তিনি।
উঠতে হবে বিজেপির ওপরে
প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, বিজেপির শক্তি হল হিন্দুত্ব, অতি-জাতীয়তাবাদ এবং জনকল্যাণের মতো বিষয়। বিজেপির বিরুদ্ধে জয় পেতে গেলে এর মধ্যে অন্তত দুটি বিষয়ে বিজেপির থেকে এগিয়ে যেতে হবে বিজেপি বিরোধীদের। তৈরি করতে হবে মহাজোট। তবে মহাজোটই সব নয়। সবকটি দলকে একসঙ্গে চলার বার্তা দিতে হবে সাধারণের সামনে।