২০২৪-এর লক্ষ্যে বড় পরিকল্পনা, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শদাতার পদ ছাড়লেন প্রশান্ত কিশোর
তৃণমূলের (trinamool congress) ভোট কুশলীর দায়িত্ব থেকে সরেছিলেন আগেই। সরার সময়ই প্রশান্ত কিশোর (prashant kishor) বলেছিলেন, জনজীবনে সক্রিয় ভূমিকা থেকে তিনি সাময়িক বিরতি নিচ্ছেন। এবার তিনি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টে
তৃণমূলের (trinamool congress) ভোট কুশলীর দায়িত্ব থেকে সরেছিলেন আগেই। সরার সময়ই প্রশান্ত কিশোর (prashant kishor) বলেছিলেন, জনজীবনে সক্রিয় ভূমিকা থেকে তিনি সাময়িক বিরতি নিচ্ছেন। এবার তিনি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর পরামর্শদাতার পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এই কথা জানিয়েছেন।
প্রশান্ত কিশোরের ঘোষণা
২০২২-এ পঞ্জাবের বিধানসভা ভোট। সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রশান্ত কিশোরকে পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। এদিন সকালে সেই পদে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি জানিয়েছে, সবাই জানেন তিনি সক্রিয় জনজীবনে সক্রিয় ভূমিকা থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন। সেই কারণে তিনি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শদাতার মতো দায়িত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারছেন না। তিনি নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত না নিলেও, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন, তাঁকে ওই পদ থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি পরামর্শদাতা নিয়োগের জন্য পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।
দুই নেতার ঝামেলা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
পঞ্জাব কংগ্রেসের যুযুধান দুই নেতা মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং নভজ্যোত সিং সিধুর মধ্যে ঝগড়া কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ব ভূমিকা নেন প্রশান্ত কিশোর। কেননা পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছিল তাতে নির্বাচনের আগেই পঞ্জাবে কংগ্রেসের দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। একদিকে সিধুকে যেমন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি মানতে রাজি ছিলেন না অমরিন্দর সিং, অন্যদিকে সিধুর লক্ষ্য ছিল মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার। যদিও শেষ পর্যন্ত সিধুকে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করে এযাত্রায় দু'নেতার মধ্যে ঝামেলা মেটায় কংগ্রেস। যার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল প্রশান্ত কিশোরের।
মার্চে প্রশান্ত কিশোরকে পরামর্শদাতা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এবছরের
মার্চে
পঞ্জাবের
মুখ্যমন্ত্রী
অমরিন্দর
সিং
প্রশান্ত
কিশোরকে
তাঁর
পরামর্শদাতা
হিসেবে
নিয়োগ
করেছিলেন।
টুইটারের
মাধ্যমে
মুখ্যমন্ত্রী
এই
নিয়োগের
কথা
সবার
সামনে
এনেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী
ক্যাপ্টেন
অমরিন্দর
সিং
বলেছিলেন,
তিনি
প্রশান্ত
কিশোরকে
প্রধান
পরামর্শদাতা
হিসেবে
নিয়োগ
করছেন।
পঞ্জাবের
মানুষের
স্বার্থেই
এই
সিদ্ধান্ত
বলে
জানিয়েছিলেন
তিনি।
প্রশান্ত
কিশোরকে
ক্যাবিনেট
মন্ত্রীর
পদমর্যাদা
দেওয়া
হয়েছিল।
তবে
এই
কাজের
জন্য
মাসে
শুধুমাত্র
একটাকা
করে
দেওয়া
হবে
বলে
জানানো
হয়েছিল
সিএমও-র
তরফে।
সরকারি
বাসভবন
ছাড়াও,
সরকারি
কর্মী,
ফ্রি
ট্রান্সপোর্ট
এবং
ফ্রি
এয়ার
ট্রাভেল,
ফোন
এবং
মেডিক্যাল
সুবিধার
কথা
বলা
হয়েছিল।
২০১৭-র ভোটের আগে প্রশান্ত কিশোর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে কাজ করেছিলেন। এই বছর রাজ্যের ১১৭ টি আসনের মধ্যে ৭৭ টি আসন দখল করে কংগ্রেস।
রাজনৈতিক মহলে সক্রিয়তা বাড়িয়েছেন পিকে
গত কয়েকমাসে রাজনৈতিক মহলে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে প্রশান্ত কিশোর। এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার-সহ বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি বৈঠক করেছেন সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে। তা নিয়ে জল্পা তুঙ্গে উঠলেও, প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছিলেন, বিজেপি বিরোধী যদি কোনও জোট তৈরি হয়, তাহলে সেই জোটের অংশ হিসেবে কংগ্রেসকে রাখতেই হবে।
তিনি
কংগ্রেসকে
পরামর্শ
দেওয়ার
কথা
বললে,
রাহুল
গান্ধী
তাঁকে
সরাসরি
কংগ্রেসে
যোগ
দেওয়ার
প্রস্তাব
দেন।
পাশাপাশি
প্রশান্ত
কিশোর
কংগ্রেসে
যোগ
দিলে
দলের
সুবিধা
অসুবিধার
কথা
নিয়ে
বর্ষীয়ান
নেতাদের
মতামত
নেন।
যদিও
এখনও
সেব্যাপারে
চূড়ান্ত
কিছু
জানা
যায়নি।
যদিও
প্রশান্ত
কিশোর
মিডিয়ার
সামনে
কংগ্রেসে
যোগদানের
বিষয়টিকে
উড়িয়ে
দিয়েছিলেন।
তবে
তিনি
কংগ্রেসে
যোগ
দিলে
নিজের
ভূমিকা
নিয়ে
রাহুল
গান্ধীকে
জানিয়েছিলেন
বলেই
সূত্রের
খবর।
পশ্চিমবঙ্গের
বিধানসভা
নির্বাচনের
তৃণমূলের
সাফল্যের
পরে
প্রশান্ত
কিশোর
বলেছিলেন,
তিনি
অনেকদিন
ধরেই
ভোট
কুশলীর
দায়িত্ব
ছাড়ার
জন্য
চেষ্টা
চালিয়ে
যাচ্ছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের
ফলাফল
তাঁকে
সেই
সুযোগ
করে
দিয়েছে।
তাঁর
রাজনৈতিক
উচ্চাকাঙ্খা
সম্পর্কে
প্রশ্ন
করা
হলে
প্রশান্ত
কিশোর
বলেছিলেন,
রাজনীতিতে
যোগ
দেওয়ার
বিষয়টা
তাঁর
রেডারে
রয়েছে।
তিনি
সেখানে
থাকলেও
ব্যর্থ
হয়েছিলেন।
সেখানে
তিনি
ফিরে
যেতে
চান
এবং
কী
করলে
ভাল
হবে,
সেই
চিন্তা
করে
এগিয়ে
যেতে
চান
তিনি।
বানভাসী জেলাগুলিতে আরও বৃষ্টি! বাংলার জেলাগুলিকে নিয়ে উদ্বেগজনক বার্তা আবহাওয়া অফিসের