শক্তি বাড়ছে দিল্লির রাজ্যপালের, সংসদে বিল পেশ কেন্দ্রের! স্বৈরাচারী পদক্ষেপ বলে কটাক্ষ কেজরিওয়ালের
শক্তি বাড়ছে দিল্লির রাজ্যপালের, সংসদে বিল পেশ কেন্দ্রের! স্বৈরাচারী পদক্ষেপ বলে কটাক্ষ কেজরিওয়ালের
জল্পনা চলছিল দীর্ঘদিন থেকেই অবশেষে ক্ষমতা বাড়তে চলেছে দিল্লির রাজ্যপালের। সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই বিষয়ে লোকসভায় একটি নতুন বিল আনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ন্যাশান্যাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি (সংশোধনী) বিল, ২০২১ মোতাবেক এবার নতুন করে বড়মাত্রায় ক্ষমতা বাড়তে চলেছে দিল্লির রাজ্যপালের। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি এই বিল পেশ করেন বলেও জানা যায়।
কেন্দ্রের পদক্ষেপকে স্বৈরাচারী বলে কটাক্ষ কেজরিওয়ালের
এদিকে রাজ্যপালের শক্তিবৃদ্ধি যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিশেষ 'সুখকর' হচ্ছে না তা আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এমনকী কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে 'স্বৈরাচারী' বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। তুলোধনা করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াও। প্রস্তাবিত এই সংশোধনীটি পাস হলে, নির্বাচন এবং দিল্লির নির্বাচিত সরকার অর্থহীন হয়ে যাবে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে যাচ্ছে কেন্দ্রের পদক্ষেপ
সিসোদিয়ার আরও অভিযোগ, "শেষ নির্বাচনে বিধায়ক কেনার চেষ্টা করেও সফল হয়নি বিজেপি। এমনকী ঘুরপথে একাধিক প্রচেষ্টা চালিয়েও জিততে পারেনি নির্বাচনে। এখন তাই দিল্লিতে ক্ষমতা বাড়তে রাজ্যপালের ঘাড়ে বন্ধুক রাখতে চাইছে কেন্দ্র। " বলপূর্বক রাজ্যের ক্ষমতা কমাতেই এই নয়া চেষ্টা বলে রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রামণ করতে দেখা যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। এমনকী এই পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের রায়েরও বিরুদ্ধে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ে আপ-কেন্দ্র টানাপোড়েন
এদিকে ২০১৫ সালে দিল্লিতে দ্বিতীয়বারের জন্য আপ সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই দিল্লিতে প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে কেন্দ্রের সঙ্গে। এমনকী নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেও দিল্লিকে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিল আপ সরকার। এদিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার কারণে এখনও দিল্লির জমি, পাবলিক ওর্ডার , পুলিশ এবং পরিষেবা মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণাধীনে রয়েছে।
কমতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ?
এদিকে নতুন সংশোধিতে বিলে ধারা ২১, ধারা ২৪, ধারা ৩৩, ধারা ৪৪ সহ আরও একাধিক উপধারায় বড়সড় রদবদল আনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যাতে আইন হোক বা আইনের শাসন প্রতিক্ষেত্রেই ক্ষমতা বৃদ্ধি হতে চলেছে রাজ্যপালের। এমনকী তার ছাপ পড়তে চলেছে রাজ্যের প্রশাসনিক মহলেও। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর শাসন ক্ষমতাও প্রাভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
রক্ত জমাটের প্রমাণ নেই, ইউরোপের আরও তিন দেশে বাতিল অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন