নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত ভুয়ো খবর রুখতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া নজর পুলিশের
নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত ভুয়ো খবর রুখতে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ পুলিশের
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল দেশ। আলিগড় ও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের বর্বরোচিত লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভে সরব হয়েছেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ক্রমাগত চলেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রতিবাদের জোয়ার।
ভুয়ো খবর রুখতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারী
দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় এই সংগঠিত প্রতিবাদের মাঝেই আসছে একাধিক 'ভুয়ো খবর' রটানোর অভিযোগ। সিলামপুর ও জামিয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করে পুলিশ। যার জেরে বিভিন্ন সময় তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। এবার দিল্লি পুলিশ 'ভুয়ো খবর' ছড়ানো সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট গুলি সনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানা যাচ্ছে। জাতীয় রাজধানীর শান্তি বজায় রাখতে ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব দিল্লির কয়েকটি অঞ্চলে ধারা জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ছোঁড়া হয় পাথর, পেট্রোল, অ্যাসিড
অন্যদিকে সিলামপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, " পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় পাথর, পেট্রোল, অ্যাসিড। কারা এগুলি করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়েও শুরু হয়েছে তদন্ত।"
এফআইআর দায়ের জামিয়ার তিন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে
পাশাপাশি জামিয়ায় বিক্ষোভ দেখানোর সময় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে তিন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর জমা পড়েছে দিল্লি পুলিশের কাছে। এফআইআর করা হয়েছে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বা আইসার সদস্য চন্দন কুমারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ওই তালিকায় নাম আছে ইসলামিক স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়ার আসিফ তানহা এবং ছাত্র যুব সংগ্রাম কমিটির থেকে কাসিম উসমানীর। যদিও দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
১৫,০০০-র বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ
টুইটার, ফেসবুক, টিকটক এবং হ্যালোর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে ১৫,০০০-র বেশি ব্যবহারকারী বর্তমানে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যা ক্রমেই ইন্ধন দিচ্ছে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনাকে। এই প্রবণতা রুখতে ইতিমধ্যেই পুলিশ তৎপরতার সাথে কাজ শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
ভুয়ো খবর ছড়ালে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা
দিল্লি পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান," ভুল তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার এই ধরণের অ্যাকাউন্ট গুলি শনাক্ত করে পর্যবেক্ষণ করছি। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে নেওয়া হবে যথাযথ ব্যবস্থা।