For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

হোয়াটসঅ্যাপে ছেলের 'তালাক' মেসেজ আসতেই পূত্রবধূদের উপর অত্যাচার শুরু দম্পতির!

মার্কিন মুলুকে বসবাস করা দুই ছেলে হোয়াটসঅ্যাপেই পাঠিয়ে দিলেন 'তালাক' বার্তা। ছেলেদের মেসেজ পেতেই বউমাদের উপ অত্যাচার শশুর-শ্বাশুড়ির। অবশেষে গ্রেফতার।

Google Oneindia Bengali News

হায়দ্রাবাদ, ৪ মার্চ : মার্কিন মুলুকে বসবাস করা দুই ছেলে হোয়াটসঅ্যাপেই পাঠিয়ে দিলেন 'তালাক' বার্তা। ছেলেদের মেসেজ পেতেই পুত্রবধূদের বাড়ি থেকে তাড়াতে উঠে পড়ে লাগলেন ছেলের বাবা-মা। বউমারা বাড়ি ছাড়তে অস্বীকার করায় শুরু অকথ্য অত্যাচর। কোনও পথ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই পুত্রবধূ। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে অবশেষে গ্রেফতার করা হয় তাদের শশুর-শ্বাশুড়িকে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দুই ছেলের নাম আবদুল সোহেল এবং আবদুল আকিল। দুজনেই নিজের ফোনে তিন তালাকের ছবি স্ত্রীয়েদের কাছে পাঠান ফোনের মাধ্যমে। দুই মহিলার অভিযোগ, এই হোয়াটঅ্যাপ মেসেজের কথা জানতেই তাদেরকে বের করে দেন শশুর-শ্বাশুড়ি। তারা বাধা দিতে গেলে তাদের হেনস্থা করা হয় এমনকী মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। মোঘলপুরা থানার পুলিশ অবশেষে ৬০ বছরের মহম্মদ হাফিজ এবং তাঁর স্ত্রী আথিয়া বেগমকে গ্রেফতার করে।

হোয়াটসঅ্যাপে ছেলের 'তালাক' মেসেজ আসতেই পূত্রবধূদের উপর অত্যাচার শুরু দম্পতির!

গত বছরই বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পেয়ে সোহেল এবং আকিল নিউ ইয়র্কে পাড়ি দেন। আবদুল সোহেলের সঙ্গে হিনা ফতিমার বিয়ে হয় ২০১২ সালে। অন্যদিকে আবদুল আকিলের সঙ্গে মেহরান নুরের বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। সোহেল ফতিমার ২টি সন্তান রয়েছে, আকিল আর নুরের রয়েছে ১টি সন্তান।

গত দু মাস ধরেই দুই ভাই নিজের স্ত্রীয়েদের কাছে বিচ্ছেদের জন্য মেসেজ পাঠাতে থাকে। কিন্তু তাতে গা করেননি ফতিমা ও নুর।

হিনার কথায়, "পাঁচদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপে তিনবার তালাক লিখে পাঠান আমার স্বামী। তার পরের মেসেজে লেখেন তিনি আমাকে ডিভোর্স দিলেন। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। আমার জাও একই মেসেজ পেয়েছে নিজের স্বামীর থেকে। এরপর দুই ভাইই তাদের স্ট্যাটাস আপডেট করে তিন তালাক লিখে। প্রোফাইল ছবিতে তিন তালাকের ছবি। কোনও কারণ ছাড়াই ডিভোর্স দিতে চাইছে দুই ভাই। যদি তারা সত্যিই বিচ্ছেদের পথে যেতে চায় তাহলে আইন মেনেই তা হওয়া উচিত। এভাবে ওরা আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙতে পারেন না।"

মহম্মদ হাফিজকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "আমার ছেলের ওদের শারিয়ৎ মতে তালাক দিয়ে দিয়েছে। বিচ্ছেদের পর যখন ওরা আমার ছেলের বউ আর নয়, তখন কেন আমি ওদের এবাড়িতে রাখব।"

নুরের অভিযোগ, শশুর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় পর তারা যেতে অস্বীকার করে। বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসে তার। তখন শশুর ও শ্বাশুড়ি তাদের গালিগালাজ করে, হেনস্থা করে এমনকী গায়ে হাত তোলে। এরপরই তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

English summary
Police arrests couple for assaulting daughter-in-laws after their sons sent ‘talaq’ messages on Whatsapp
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X