মেহুল চোকসিকে নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে বিস্ফোরক দাবি অ্যান্টিগার, কি বলেছিল ভারতীয় পুলিশ
অ্যান্টিগার দাবি, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের আওতাধীন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও পুলিশের পক্ষ থেকে একটি স্বচ্ছ রিপোর্ট পাওয়ার পরই মেহুল চোক্সিকে সেই দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল।
কোটি কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করে পালিয়ে অ্যান্টিগায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন মেহুল চোক্সি। অ্যান্টিগা সরকারের দাবি, ভারতের পুলিশের কাছ থেকে তার ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে ইতিবাচক রিপোর্ট হাতে পেয়েই তাকে সেই দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে জড়িত ব্যক্তিটি কিকরে পুলিশের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স পেল?
২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে মুম্বইয়ের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে মেহুল পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই মালাবার হিল থানার পুলিশ তার সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই মেহুল অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
জানা গিয়েছে এরজন্য ভারতীয় পুলিশের আদ্যিকালের সিস্টেম দায়ী। আসলে ভারতের ক্রিমিনাল অ্যান্টিসিডেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম, অর্থাত যা দিয়ে কোনও ব্যক্তির অপরাধের কোনও রেকর্ড আছে কিনা তা দেখা হয়, তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির গ্রেফতার হওয়ার উপরে। অর্থাত কোনও অপরাধী যদি একবারও গ্রেফতার না হন, তাহলে এই সিস্টেম তাকে একেবারে নিরাপরাধ বলে দেখাবে।
মেহুলের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওই সময়ের আগে বেশ কিছু অভিযোগ থাকলেও কখনই তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হননি। তাই সিআইএএস তাকে নিরাপরাধ হিসেবেই দেখিয়েছে। পুলিশও আর কোনও খোঁজখবর না নিয়ে ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ তাকে নিরাপরাধ বলেই রিপোর্ট জমা দেয়।
অ্যান্টিগা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে ওই বছরেরই মে মাসে মেহুল সেই দেশের নাগরিকত্ব লাভের আবেদন জানান। বিদেশ দপ্তরের আওতায় তাকা মুম্বইয়ের ওই পাসপোর্ট অফিসের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তাকে নাগরিকত্বও দেওয়া হয়।
মেহুলের দ্রুত পুলিশি ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পিছনে কোনও প্রভাবশালীর হাত আছে না তিনি বরাত জোরে পুরনো হয়ে যাওয়া সিস্টেমের সুবিধা পেয়েছেন সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলার তদন্তকারীরা সেই দিকগুলি খতিয়ে দেখছেন।