প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ১.২৬ কোটি টাকা, সবচেয়ে ধনী অরুণ জেটলি
প্রথমে দেখে নেওয়া যাক প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তি। গুজরাতের গান্ধীনগরে তাঁর একটি নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। এর বাজারদর এখন এক কোটি টাকা। হাতে থাকা নগদের পরিমাণ ৩৮,৭০০ টাকা। ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও ফিক্সড ডিপোজিট মিলিয়ে রয়েছে যথাক্রমে ১,৩২,৬৯৮ টাকা ও ১৭,০০,৯২৭ টাকা। বিভিন্ন বন্ডে তিনি বিনিয়োগ করেছেন ২০ হাজার টাকা। ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (এনএসসি)-এ বিনিয়োগ করেছেন ২,৩৫,০০০ টাকা। জীবনবিমা রয়েছে ১,৯৯,০৩১ টাকার। সোনাদানা যা রয়েছে, তার বাজারদর ১,২০,৯৮০ টাকা। লক্ষণীয় বিষয়, গান্ধীনগরের বাড়ি বাদ দিলে নরেন্দ্র মোদীকে মধ্যবিত্তই বলা যায়।
নরেন্দ্র মোদীর ক্যাবিনেটে সবচেয়ে বড়লোক মন্ত্রী যিনি রয়েছেন, তিনি হলেন অরুণ জেটলি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৭২.১০ কোটি টাকা। প্রতিরক্ষা ও অর্থ মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অরুণ জেটলি নিজে সুপ্রিম কোর্টের প্রথিতযশা ব্যারিস্টারও বটে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সম্পদের পরিমাণ ২.৫৬ কোটি টাকা, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সম্পত্তি হল ২.৭৩ কোটি টাকা। এ ছাড়াও, হরিয়ানার পালওয়ালে সুষমা স্বরাজের কিছু জমি আছে। সেখানে এখনও নিয়মিত সবজি, ফল ইত্যাদির চাষ হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা আইন ও টেলিকমমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের সম্পত্তির পরিমাণ ১৪.৯১ কোটি টাকা। পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়করির হাতে রয়েছে ৩.৩৪ কোটি টাকার সম্পত্তি। রেলমন্ত্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া ও জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী উমা ভারতী সম্পত্তির পরিমাণ যথাক্রমে ৪.৩৪ কোটি টাকা ও ১.৬২ কোটি টাকা। ক্যাবিনেটের আদিবাসী মুখ তথা উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী জুয়েল ওরাওঁ ১.৭৭ কোটি টাকার মালিক।
অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদীর ক্যাবিনেটের 'গরিব' মন্ত্রীরা হলেন বেঙ্কাইয়া নাইডু, রামবিলাস পাসোয়ান, নরেন্দ্র সিং তোমর, হর্ষবর্ধন ও অনন্ত কুমার।
বেঙ্কাইয়া নাইডুর সম্পত্তির পরিমাণ ২০.৪৫ লক্ষ টাকা। খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান ৩৯.৮৮ লক্ষ টাকার মালিক। শ্রমমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এবং সার ও রসায়নমন্ত্রী অনন্ত কুমার যথাক্রমে ৪৪.৯০ লক্ষ, ৪৮.৫৪ লক্ষ ও ৬০.৬২ লক্ষ টাকার সম্পদের অধিকারী।