লক্ষ্যে লোকসভা, মমতাকে নিশানা শুরু করে দিলেন মোদীও! প্রশ্নে বাংলার গণতন্ত্র
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে যে বাংলা এবার বিজেপির সফট টার্গেট, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিশানাতেই ফের স্পষ্ট হল। বাংলার মমতা সরকারের দিকে তাক করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, বাংলায় মার খাচ্ছে বিজেপি।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে যে বাংলা এবার বিজেপির সফট টার্গেট, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিশানাতেই ফের স্পষ্ট হল। বাংলার মমতা সরকারের দিকে তাক করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, বাংলায় মার খাচ্ছে বিজেপি। সব কিছুতেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। হিংসার রাজনীতি মানুষ প্রশ্রয় দেবে না। এইসব ঘটনা প্রমাণ করে বাংলায় গণতন্ত্র নেই।
নববর্যের প্রথম দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই আক্রমণাত্মক রূপে লোকসভা যুদ্ধের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল। বাংলায় সম্প্রতি বিজেপির রথের চাকা আটকে গিয়েছে। মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের আগে তিন রথ বাংলা প্রদক্ষিণ করবে, তা নিয়ে বিরাট পরিকল্পনা থাকলেও, বিজেপি ধাক্কা খেয়েছে।
শেষপর্যন্ত তাঁদের আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। এখন বিজেপির রথযাত্রা ঝুলে রয়েছে আইনি গেরোয়। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে রথযাত্রার ভাগ্য। এই মর্মেই প্রধানমন্ত্রী একহাত নিয়েছেন মমতার সরকারের। রাজ্যের তৃণমূল সরকার হিংসার রাজনীতি চালাচ্ছে। হিংসা ছড়িয়ে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা দেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পুলিশ অফিসার, কর্মী খুন হওয়া মানে যদি গণতন্ত্র হয়, তাহলে সেই গণতন্ত্র বাংলায় নেই। বাংলায় মানুষের সরকার চলে। জনমুখী কর্মসূচির উপর সরকার চলে। কেন্দ্রের মতো জনবিরোধী পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হয় না এখানে। নোটবন্দির মতো সাংঘাতিক পদক্ষেপ নিয়ে ব্যবসায়ীদের ভাতে মারা হয় না।