গরিবের টাকা যারা চিটফান্ডের মাধ্যমে লুটেছে, তাঁরাই আজ বিরোধিতা করছে, মমতাকে নাম না করে আক্রমণ মোদীর
নোট বাতিল বিতর্কে সবচেয়ে বেশি যিনি সরব সেই তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নাম না করে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগ্রা, ২০ নভেম্বর : নোট বাতিল বিতর্কে সবচেয়ে বেশি যিনি সরব সেই তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নাম না করে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগ্রায় এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা চিটফান্ডের মাধ্যমে গরিব মানুষের টাকা লুঠ করেছেন তারাই আজ সরকারের বিরোধিতা করছেন।
এদিন উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার সূচনা করে জনসভায় ভাষণ রাখতে উঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি কারা আমার বিরোধিতা করছেন। দেশ কি জানে না কাদের টাকা চিটফান্ড ব্যবসায় খেটেছে? লক্ষ কোটি টাকা চিটফান্ডে রেখে সর্বস্বান্ত হয়েছেন গরিব মানুষ। রাজনৈতিক নেতাদের হাত ধরে সেই টাকা গায়েব করা হয়েছে।
এখানেই না থেমে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখুন, চিটফান্ডের কারণে শত শত পরিবারের লোকজন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। আর এখন এরা আমার দিকে আঙুল তুলছে। গোটা ভাষণেই স্পষ্ট ছিল, নাম না করে একেবারে সরাসরি নোট বাতিল নিয়ে বিরোধিতা করা তৃণমূল নেত্রীর দিকেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এর পাশাপাশি আমজনতাকে সাবধান করে প্রধানমন্ত্রী জানান, যাদের জন ধন যোজনা অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাদের অ্যাকাউন্টকে যাতে কালো টাকা লেনদেনে ব্যবহার না করা হয়, সেবিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সেক্ষেত্রে আমজনতাকে অকারণে হয়রানির শিকার হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
নোট বাতিলের পর গত দশদিনে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক মিলিয়ে মোট ৫ লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যুবসমাজ ও গরিবদের উন্নতিতে এটা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বারবার মেনে নিয়েছেন যে আমজনতাকে এই ঘোষণার ফলে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এই হয়রানি আরও কিছুদিন চলবে বলেও মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে আমজনতার এই কষ্ট বিফলে যাবে না বলেও এদিন কথা দেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের নোট বাতিলের বিরোধিতায় সর্বাগ্রে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে গিয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ও আমজনতার দুর্ভোগের কথা জানিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে দরবারও করে এসেছেন। এমনকী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন।
এবার সেই বিরোধিতার প্রধান মুখ মমতাকেই নাম না করে আক্রমণ করে নোট বাতিল বিতর্কে পাল্টা দিলেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।