বেঁচে ফিরতে পেরেছি, আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাবেন! বললেন মোদী
আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে থমকে রইল মোদীর কনভয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ফ্লাইওভারের মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে প্রধানম
পঞ্জাবে প্রশ্নের মুখে প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষা ব্যবস্থা। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে থমকে রইল মোদীর কনভয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ফ্লাইওভারের মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় গলদ ছিল বলে ব্যাখ্য করেছে।
তবে এই ঘটনার পরে মাঝপথ থেকেই বিমানবন্দরের দিকে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে পঞ্জাবের আধিকারিকদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাতিন্দা বিমানবন্দর পর্যন্ত বেঁচে ফিরতে পারার জন্যে আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাবেন। এমনটাই জানাচ্ছে এনআইএ'য়ের প্রকাশিত খবর।
ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যে তাঁর মন্ত্রক পঞ্জাব সরকারের কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রক বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পঞ্জাব সফরে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যাপক গাফিলতি থাকার পরে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। ইতিমধ্যে পঞ্জাব সরকারের কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি ঘটনার তদন্তের কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠান বাতিল হয়নিঃ মান্ডাভিয়া
যে সময়ে এই ঘটনা ঘটে তখন প্রধানমন্ত্রী ভাতিন্ডা থেকে হুসনিবালা যাচ্ছিলেন। সেখানে রাষ্ট্রীয় শহিদ স্মারকের দিকে যাচ্ছিলেন। আর এই ঘটনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মান্ডবিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন। কিন্তু বিশেষ কিছু কারনের জন্যে উনি আজ এখানে আসতে পারলেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আপনাদের সঙ্গে দেখা করার খুব ইচ্ছা ছিল...। তবে এই অনুষ্ঠান বাতিল করা হচ্ছে না। স্থগিত করা হচ্ছে। এমনটাই বিজেপি নেতা জানিয়েছেন।
ভোট ঘিরে চড়ছে পারদ
প্রায় দুবছর পর প্রধানমন্ত্রী মোদী আজ পঞ্জাবে পৌঁছন। বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের পর এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম পঞ্জাব সফর। সেখানে ৪২,৭৫০ কোটি টাকার প্রজেক্টের শিল্যানাসা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। দিল্লি-অমৃতসর কটরা এক্সপ্রেস সহ একাধিক শিল্যানাস হওয়ার কথা ছিল আজ প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে। সামনেই সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির এবার পাখির চোখ পঞ্জাব। আর সেই লক্ষ্যেই ঘোর গোছাতে শুরু করেছে বিজেপি। তবে একচুলও জায়গা ছাড়তে নারাজ কংগ্রেসও।
শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্ত
যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চান্নি। একটি পঞ্জাবি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি হয়নি। তিনি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সড়কপথে যাত্রা একেবারে শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্ত। তাঁর হেলিকপ্টারে যাওয়ার কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর পুরো নিরাপত্তাই তিনি পর্যালোচনা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে ৭০ হাজার চেয়ারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৭০০ জন উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।