ভোট বড় বালাই, কংগ্রেস-বিজেপিকে টেক্কা দিতে ধর্মের শরণে বামপন্থী পিনারাই বিজয়ন
এদিন কেরলে অনুষ্ঠিত হল ভোটগ্রহণ। এদিন সকালেই ভোট দিয়ে বামজোটকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছিলেন, 'ভোট যত বেশি পড়বে তত আমাদের জন্য ভালো। এখন আয়াপ্পাকে ডেকে আর লাভ হবে না পিনারাই বিজয়নদের।' আর সেই কটাক্ষের জবাব দিতেই বেলা শেষে পিনারাই বিজয়ন দাবি করলেন যে আয়াপ্পা এলডিএফ সরকারের সঙ্গেই রয়েছে।
'আয়াপ্পা আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন'
এদিন পিনারাই বিজয়ন বলেন, 'সবরীমালার আরধ্য ঈশ্বর আয়াপ্পা ছাড়া বাকি যত দেব দেবী আছেন সবাই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। কারণ আমরা মানুষের জন্য কাজ করি।' উল্লেখ্য, কেরলের এই নির্বাচনে মেরুকণের আঁচ দিতে কংগ্রেস, বিজেপি দুই পক্ষই শবরীমালা ইস্যু টেনে এনে খোঁচা দিয়ে প্রচারে নামে বামজোটের বিরুদ্ধে।
'আয়াপ্পার কোনও ভক্ত এই বাম সরকারের পাশে নেই'
এদিকে কেরলের কংগ্রেস নেতা পাল্টা তোপ দেগেছেন পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে। এদিন তিনি বলেন, 'না আয়াপ্পা, না আয়াপ্পার কোনও ভক্ত এই বাম সরকারের পাশে নেই। এই সরকার ভক্তদের ভাবাবেগকে আঘাত দিয়েছে। হারের ভয়তে এখন তিনি আয়াপ্পার নাম নিতে বাধ্য হয়েছেন।' এদিকে এই প্রসঙ্গে বিজেপিও আক্রমণাত্মক। কে সুরেন্দ্রণ এই বিষয়ে বলেন, 'পিনারাই বিজয়নই তো আয়াপ্পার ভক্তদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন যে মহিলারা মন্দিরে ঢুকবেই। পারলে হরতাল করতে।'
সবরীমালা নিয়ে তপ্ত কেরলের রাজনীতি
এর আগে সুপ্রিম নির্দেশের পরও সবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে ইচ্ছুক মহিলা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছিল কেরল সরকার। এদিকে 'ঐতিহ্য' বজায় রাখার পক্ষে বিজেপি। অপরদিকে কংগ্রেস সবরীমালা ইস্যুতে বিজেপির মনোভাব পোষণ করছে। তবে এই বিষয়ে তারা বিজেপি থেকে ধর্মের 'হাওয়া' নিজেদের পালে লাগানোর চেষ্টায় ছিল।
সবরীমালার ধাক্কায় ধরাশায়ী বাম
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভায় কেরলে বামদলগুলির ভরাডুবির অন্যতম কারণ ছিল সবরীমালা নিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যহীন পন্থা। উল্লেখ্য, কেরল সরকারের এক হলফনামার জেরেই সুপ্রিমকোর্ট মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে নির্দেশ দিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে সিপিএম-এর অন্দরে সবরীমালা নিয়ে ধীরে চলো নীতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।