ইতিহাসে এই প্রথম, কোভিড আবহে তিরুপতি মন্দিরে ইশ্বর দর্শনে সবচেয়ে কম পুণ্যার্থী
কোভিড আবহে তিরুপতি মন্দিরে ইশ্বর দর্শনে সবচেয়ে কম পুণ্যার্থী
দেশে করোনা ভাইরাসের মারাত্মক দ্বিতীয় ওয়েভের সংক্রমণের জেরে আতঙ্কিত দেশবাসী। দেশের বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই সংক্রমণ দমন করতে লকডাউন–কড়া নিয়ম জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশের ধর্মীয় জায়গাগুলি খোলা থাকলেও এখন সেভাবে দর্শনার্থীদের ভিড় হচ্ছে না। দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত তিরুপতিতে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের মন্দিরে সোমবার সবচেয়ে কম পুণ্যার্থী দেখা গিয়েছে। এদিন সবচেয়ে কম ২,৪০০ জন পুণ্যার্থীর পা পড়ে মন্দিরে।
এই মন্দিরের ইতিহাসে এটা প্রথমবার। কোভিড–১৯ কেসের তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে দেশের অনেক জায়গাতেই আংশিক লকডাউন জারি হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানার পাহাড়ের ওপর অবস্থিত এই মন্দিরটিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভক্তদের ভিড় অনেকটাই কমে গিয়েছে। গত বছর মার্চ–জুন মাস পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের প্রথম ওয়েভের লকডাউনে মন্দির বন্ধ রাখা হয়েছিল, এরপর তা খোলার সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরে রেকর্ড ৮ হাজার জন ভক্তের সমাবেশ হয়েছিল। বছর জুড়ে এই তিরুমালা মন্দিরে ভক্তদের ভিড়ের জন্যই এটি এত জনপ্রিয়। সপ্তাহের শেষ দু’দিনে ও উৎসবের সময় এই মন্দিরে পুণ্যার্থির সংখ্যা ১.২৫ লক্ষে পৌঁছে যায়। তাই ইতিহাসে যা কোনওদিনও হয়নি, তাই করোনা আবহে ৮ হাজারেরও কম ভক্তের ভিড় হয়েছে এই মন্দিরে।
ভক্তরা টিটিডির মাধ্যমে দর্শনের জন্য টিকিট কেটে বেলা ১২টার পর তিরুমালায় ঢুকতে পারবেন। রাজ্য সরকারের ১৮ ঘণ্টার কার্ফু ঘোষণা হওয়ার পর এই মহামারির সময় মানুষ এখন মন্দিরে যেতে চাইছেন না। সোমবার মাত্র ২,৪০০ জন ভক্ত মন্দিরে দর্শনের জন্য গিয়েছিলেন, যার মধ্যে ১৩৭৫ জন তাঁদের মনের ইচ্ছা পূরণ হওয়ায় মাথা নেড়া হন মন্দির চত্ত্বরেই। তবে এম কম ভক্তসংখ্যা কোনওদিনও দেখেনি মন্দির কর্তৃপক্ষ। গত বছরই তিরুপতি মন্দিরে কর্মী এবং পুরোহিত মিলিয়ে মোট ৭৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তা স্বত্বেও মন্দির খোলা ছিল ভক্তদের জন্য।
অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থিত তিরুপতি মন্দির বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম মন্দির হিসেবে পরিচিত। তিরুপতি তিরুমালা দেবস্থানমে কাজ করেন প্রায় ১৬ হাজার মানুষ। নানা সামাজিক ও শিক্ষামূলক কাজও করে এই ট্রাস্ট।