লালকেল্লা কাণ্ডে এবার মামলা হেভিওয়েট বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে! কী কারণে দায়ের অভিযোগ?
আন্দোলনরত কৃষকদের 'সন্ত্রাসবাদী' বলায় বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র এবং একটি সংবাদ চ্যানেলের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা রুজু হল শীর্ষ আদালতে৷ মামলাকারীর আবেদন, মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সিবিআই যাতে অবিলম্বে এফআইআর করে, তার নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট৷ সেইসঙ্গে, আগামী দিনে যাতে কোনও সংবাদমাধ্যম বা কেন্দ্রীয় সরকার কোনও প্রমাণ ছাড়াই কৃষকদের গায়ে সন্ত্রাসবাদীর তকমা সেঁটে দিতে না পারে, শীর্ষ আদালতকে তাও নিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়েছে৷
কী বলেন মামলাকারী?
মামলা দায়েরকারী এমএল শর্মা পেশায় একজন আইনজীবী৷ তাঁর আবদনের বয়ান পড়ে তিনি বলেন, 'খালি হাতে থাকা কৃষকদের কখনই সন্ত্রাসবাদী বলে দেগে দেওয়া যায় না৷ এই অভিযোগ মিথ্য়ে এবং বেআইনি৷ যাঁরা এর পিছনে রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইপিসি-র ১৮২ এবং ২১১ নম্বর ধারা অনুসারে পদক্ষেপ করা যেতে পারে৷'
নির্দিষ্ট কিছু রুটে কৃষকদের ঢুকতে দেয়নি দিল্লি পুলিশ
শর্মার মতে, একটি ঘটনার উপর রং চড়িয়ে সেটিকে কারও পক্ষে বা বিপক্ষে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়৷ ওই সংবাদ চ্য়ানেল সেটাই করেছে৷ যা ঠিক হয়নি৷ সংবাদমাধ্য়মে প্রকাশিত কোনও রিপোর্টে ব্য়ক্তিগত মতামত থাকাও উচিত নয়৷ আবেদনকারীর দাবি, সম্বিত পাত্র যেভাবে কৃষকদের সন্ত্রাসবাদী বলেছেন, তারজন্য তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্য়ই এফআইআর ও মামলা হওয়া উচিত৷ শর্মার আরও অভিযোগ, ট্রাক্টর মিছিলের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট কিছু রুটে কৃষকদের ঢুকতে দেয়নি দিল্লি পুলিশ৷ তার জেরেই ব্যারিকেড সরাতে বাধ্য় হন কৃষকরা৷
দিল্লির হিংসা কি সত্যিই দুর্বল করে দিল কৃষক বিক্ষোভকে?
এদিকে দিল্লির হিংসা কি সত্যিই দুর্বল করে দিল কৃষক বিক্ষোভকে? সাধারণতন্ত্র দিবসে লাল কেল্লার ঘটনার পর কৃষক বিক্ষোভ থেকে নিজেদের সমর্থন তুলে নিল দুই কৃষক সংগঠন রাষ্ট্রীয় কিষান মজদুর সংগঠন ও ভারতীয় কিষান ইউনিউয়ন (ভানু)। দিল্লিতে হিংসার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তারা জানিয়েছে, বিক্ষোভ যেভাবে হচ্ছে, তার সঙ্গে আর তারা থাকতে পারবে না।
আশঙ্কা সত্যি হওয়ার ইঙ্গিত মেলে
দিল্লিতে সাধারণতন্ত্র দিবসে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তা কৃষক বিক্ষোভকে দুর্বল করবে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই বুধবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করে শান্তি বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন কৃষক নেতারা। এমনকী মঙ্গলবারের ঘটনায় তাঁরা চক্রান্তের কথাও বলেছিলেন। তবে কয়েক ঘণ্টা না-গড়াতেই সেই আশঙ্কা সত্যি হওয়ার ইঙ্গিত মিলল। দিল্লির হিংসার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ থেকে নিজেদের সমর্থন তুলে নিল দুই কৃষক সংগঠন রাষ্ট্রীয় কিষান মজদুর সংগঠন ও ভারতীয় কিষান ইউনিউন (ভানু)।