কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা জারির পর পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পিএফআইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্র পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ও এর আটটি শাখা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার একদিন পরেই তাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে কেন্দ্র পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ও তার সহযোগী আটটি সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সংগঠনগুলো সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে এবং বিদেশ থেকে তহবিল সংগ্রহ করত। সেই কারণে সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একাধিক রাজ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থায় আধিকারিকরা অভিযান চালায়। সেখানে বহু তথ্য সংগ্রহ করা যায়। তারপর সংস্থাটি ও তার শাখা সংগঠনগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা করা হয়। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার বিভিন্ন দফতরে দ্বিতীয়বার অভিযান চালানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। দুটি অভিযানে প্রচুর নথি, মোবাইলের পাশাপাশি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারকরা। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার ২৫০ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গোয়েন্দারা সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহারের জন্য বাইরে থেকে তহবিল সংগ্রের প্রমাণ পায়। তারপরেই এই কট্টরপন্থী সংস্থা ও তার শাখা সংগঠনগুলোকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ফেলা হয়।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী র্যাডিক্যাল ইসলামিক দলগুলির মধ্যে একটি। এর কর্মীরা হিংসা, অপরাধ, বেআইনি কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাসের অসংখ্য মামলায় জড়িত ছিল। PFI এবং এর বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলো দেশের ১৭ টিরও বেশি রাজ্যে ছিল। পিএফআই তার ক্যাডারদের বিভিন্ন ধর্মীর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য করা হয়। তাঁদের মন বিষয়ে দেওয়া হতো। বিশেষ করে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের খুন করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। অতএব, এটি বেআইনী কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (UAPA) এর অধীনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন রাজ্যে PFI এবং শাখা সংগঠনগুলির ক্যাডারদের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং NIA ১,৩০০ টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করেছে৷ এর মধ্যে কিছু মামলা ইউএপিএ, বিস্ফোরক পদার্থ আইন, অস্ত্র আইন এবং আইপিসির অন্যান্য জঘন্য ধারাগুলির অধীনেও নথিভুক্ত করা হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে ইডি ও এনআইএয়ের আধিকারিকরা এক বৈঠকে বসেন। সেখানে অপারেশন মিডলাইট অভিযান নিয়ে আলোচনা হয়। তারপরেই দেশের ১০টির বেশি রাজ্যের একাধিক জায়গা অভিযান চালিয়ে প্রচুর নথি, মোবাইল, ল্যাপটপ সংগ্রহ করা হয়। কয়েকদি পর পিএউআই সংগঠনের শাখাগুলোর ওপর ফের অভিযান চালানো হয়। দুটি অভিযানে ২৫০ জনের বেশি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।