প্রাচীন ভারতে গো মাংস ভক্ষণকারীকে অস্পৃশ্য বলা হত, দাবি সংঘ নেতার
গো মাংস নিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য সংঘ নেতার। একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে গিয়ে আরএসএসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল দাবি করেছেন প্রাচীন ভারতে গো মাংসা ভক্ষণকারীদের অস্পৃশ্য বলা হত।
গো মাংস নিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য সংঘ নেতার। একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে গিয়ে আরএসএসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল দাবি করেছেন প্রাচীন ভারতে গো মাংসা ভক্ষণকারীদের অস্পৃশ্য বলা হত। শুধু এটা বলেই থামেননি তিন্য কৃষ্ণ গোপালের দাবি প্রাচীণ ভারতের সাহিত্যে এই অস্পৃশ্য বা দলিত শব্দ ব্যবহার করা হত না।
গোমাংস বিতর্ক
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গো মাংস নিয়ে গোটা দেশেই নানা কারণে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গোমাংস ভক্ষণ এবং গোমাংস খাওয়ার অপরাধে একাধিক জায়গায় পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর প্রদেশে তো গোমাংস বিক্রি করাই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে গোটা দেশেই রাজনৈতিক চাপান উতর চলছে। আর তাতে সবচেয়ে বেশি উষ্কানি মূলক মন্তব্য করে এসেছে গেরুয়া শিবির।
সংঘ নেতার দাবি
আরএসএসের যুগ্ম সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল দাবি করেছেন, প্রাচীন ভারতে নাকি গোমাংস ভক্ষণকারীদের সমাজে অস্পৃশ্য বলে বিবেচনা করা হত। এতটাই ঘৃণ্য মনে করা হত তাঁদের যে শব্দটি সাহিত্যে ব্যবহার পর্যন্ত করা হত না। তাঁর দাবি দলিত শব্দটি সেকারণে সংবিধানেও ব্যবহার করা হয়নি। তার জায়গায় তপশিলি জাতি উপজাতি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।
ব্রিটিশরাই দলিত শব্দের ব্যবহার এনেছে
আরএসএস নেতার দাবি ব্রিটিশরাই চক্রান্ত করে দলিত শব্দের ব্যবহার নিয়ে এসেছিল। যাতে সমাজের মধ্যে ভেদাভেদ প্রকাট হয় সেকারণেই এই শব্দের ব্যবহার শুরু করে ব্রিটিশরা এমনই দাবি করেছেন তিনি। রামায়ণ রচয়িতা ঋষি বাল্মিকীও এই শব্দের ব্যবহার করেননি। তিনি শূদ্র শব্দের ব্যবহার করেছিলেন। সেসময় অনেক ঋষিই শূদ্র ছিলেন বলে দাবি সংঘ নেতার
যে অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে দলিত, শূদ্র, অস্পৃশ্য শব্দগুলি নিয়ে চর্চা করেছেন সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেলও। তাঁর উপস্থিতিতেই এই বিতর্কিত মন্তব্যগুলি করেন সংঘ নেতা। যদিও এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিক সংঘ নেতা দলিত এবং গোমাংস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।