ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস হলেন এই পরিচালক, সম্মতিতেই যৌনসঙ্গম কিনা স্পষ্ট নয়
২০১৫ সালের একটি ধর্ষণ মামলায় পিপলি লাইভ ছবির সহ পরিচালক মেহমুদ ফারুকিকে বেকসুর খালাস করল দিল্লি হাইকোর্ট, গত বছরই এই মামলায় ফারুকিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত।
২০১৫ সালের একটি ধর্ষণ মামলায় পিপলি লাইভ ছবির সহ পরিচালক মেহমুদ ফারুকিকে বেকসুর খালাস করল দিল্লি হাইকোর্ট। গত বছরই এই মামলায় ফারুকিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সোমবার শুধু ফারুকিকে বেকসুর খালাসই নয়, একজন নারীর সম্মতি ও লিঙ্গ বৈষম্যতা নিয়েও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি আশুতোষ কুমার।
বিচারপতি বলেন, যৌন সঙ্গমে অনিচ্ছুক বা লজ্জা পেয়ে 'না' বলার মানে এই নয় যে কোনও মহিলা প্রতিবাদ করছেন। কোনও মহিলাকে যদি জোর করে যৌন সঙ্গমের প্রতিবাদ করতেই হয়, তাহলে তাঁকেও তা জোর করে বুঝিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, মার্কিন ওই মহিলা অভিযোগের ধরন দেখে আদৌ তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। আর যদি হয়েই থাকে তাহলেও তা মহিলার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে হয়েছিল কিনা তাও স্পষ্ট নয়।
বিচারপতি আশুতোষ কুমার বলেন, এরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি রয়েছে, যেখানে মহিলা নিজেও যৌনতায় ইচ্ছুক ছিলেন কিন্তু লজ্জা পেয়ে ক্ষীণকণ্ঠে না বলেছিলেন। নারী- পুরুষ যেখানে একে অপরকে আগে থেকে চেনেন, সেখানে এটা বলা সত্য়িই খুব মুশ্কিল যে সেখানেও ওই মহিলা অনিচ্ছুক থাকায় ক্ষীণ কণ্ঠে না বলেছিলেন।
২০১৫ সালের ১৯শে জুন ফারুকির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় ওই মার্কিন মহিলার। প্রায় দেড় বছর শুনানি চলার পর গত সেপ্টেম্বর মাসে ফারুকিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে নিম্ন আদালত। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন পিপলি লাইভ ছবির সহ পরিচালক।