থালা নেই, রোগীকে মাটিতে খাবার বেড়ে দিল রাঁচির হাসপাতাল
রাঁচি, ২৩ সেপ্টেম্বর : দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে দুর্ব্যবস্থা নিয়ে সারা দেশে আলোচনা চলছে। কীভাবে সাধারণ মানুষের কাছে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায় তাই এখন আশু কর্তব্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের। তবে তার মাঝেই ঝাড়খণ্ডের রাজধানী শহর রাঁচির একটি হাসপাতাল দেখিয়ে দিল, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কতোটা চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে সকলের। [ধর্ম ভুলে একে অপরের স্ত্রীকে কিডনি দান 'হিন্দু-মুসলমান' দুই ব্যক্তির]
সংবাদমাধ্যম দৈনিক ভাস্করের পাতায় উঠে এসেছে এমন এক বেদনাতুর কাহিনি যা প্রতিমুহূর্তে মনকে বিদ্ধ করবে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাঁচির ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে এক রোগীকে খেতে দেওয়া হল মাটিতে। তবে মাটিতে বসে সেই রোগী থালায় ভাত মেখে খায়নি। থালা নেই বলে একেবারে মাটিতে ভাত বেড়ে খেতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। [ফের অমানবিকতার শিকার মা, মেয়ের মৃতদেহ কোলে রাত কাটল রাস্তায়]
পলমতী দেবী হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে ওয়ার্ড বয় কর্তৃক মাটিতে বেড়ে দেওয়া ভাত, ডাল, সবজি খেতে বাধ্য হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। অভিযোগ, খাবার পরে অসুস্থ পলমতীদেবীকেই উচ্ছিষ্ট জায়গা মুছে পরিষ্কার করে দিতে হয়েছে। [মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে ১০ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন স্বামী]
জানা গিয়েছে, ভাঙা হাত নিয়ে হাসপাতালের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি হন পলমতী দেবী। তাঁর কাছে নিজের থালা ছিল না। তিনি থালা চাইলে রান্নাঘরের কর্মীরা একেবারে ধমকে জানিয়ে দেন, 'থালা পাওয়া যাবে না'। [১০৪ বছর বয়সী বৃদ্ধার নিতম্ভে অস্ত্রোপচার করে রেকর্ড গড়লেন চিকিৎসকেরা]
হাসপাতালের অধিকর্তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এমন ঘটনা হওয়ার কথা নয়। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। যে বা যারা মাটিতে খাবার দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে, ওড়িশায় হাসপাতালের অব্যবস্থার কথাও গোটা দেশের চোখের ফুটে উঠেছিল। মৃত স্ত্রীকে আনতে গিয়ে হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে এক ব্যক্তি স্ত্রীর শবদেহ কাঁধে কয়েক কিলোমিটার পথ হাঁটতে বাধ্য হন।
ফলে সবমিলিয়ে সারা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে কি হাল তা পলমতীদেবীর হেনস্থার মধ্য দিয়ে ফের একবার প্রমাণিত হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।