পতঞ্জলি লাইসেন্সের আবেদনে গোপন করেছে করোনার ওষুধের কথা, দাবি উত্তরাখণ্ড সরকারের
পতঞ্জলি লাইসেন্সের আবেদনে গোপন করেছে করোনার ওষুধের কথা, দাবি উত্তরাখণ্ড সরকারের
সাতদিনে করোনা রোগ সারানোর দাবি নিয়ে যোগগুরু রামদেব মঙ্গলবারই বাজারে নিয়ে এসেছে করোনিল। কিন্তু একদিন যেতে না যেতেই বিপাকে পড়তে হল তার এই ওষুধকে। উত্তরাখণ্ড সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, যোগ গুরু রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সময় তারা যে করোনা চিকিৎসার ওষুধ তৈরি করছে তা একবারও উল্লেখ করেনি।
উত্তরাখণ্ড সরকারের নোটিশ
মঙ্গলবার রামদেবের ওষুধের ঘোষণা করার কয়েক ঘন্টা পরই সরকার কোভিড-১৯-এর নিরাময়ের চিকিৎসার দাবিতে পতঞ্জলির কাছে স্পষ্টতা চেয়েছিল এবং দাবিটি যাচাই না হওয়া পর্যন্ত পণ্যটির বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে বলেছিল। কেন্দ্র উত্তরাখণ্ড সরকারের থেকেও পতঞ্জলির করোনিল ও স্বশারি নামের দু'টি ওষুধের সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। উত্তরাখণ্ড সরকার, যা হরিদ্বারের পতঞ্জলির রাষ্ট্রীয় লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ, যারা ওষুধের উৎপাদন ও বিপণনের অনুমোদন দিয়েছে।
লাইসেন্সের আবেদনে করোনার উল্লেখ ছিল না
রাজ্যের আয়ুর্বেদ বিভাগের লাইসেন্সের এক আধিকারিক বলেন, ‘পতঞ্জলির আবেদন অনুযায়ী আমরা লাইসেন্স জারি করি। তারা সেখানে করোনা ভাইরাসের উল্লেখ করেনি। আমরা শুধুমাত্র রোগ প্রতিরোধকারি, সর্দি-কাশি ও জ্বরের ওষুধের জন্য অনুমোদন দিয়েছি।' সরকারি ভাবে বলা হয়েছে, ‘তারা কীভাবে এই কিট (কোভিড-১৯) তৈরির অনুমতি পেল তা জানতে নোটিশ জারি করা হয়েছে।'
পতঞ্জলির দু’টি ওষুধের বিশদ বিবরণ জমা দিতে বলা হয়েছে
মঙ্গলবার আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি (আয়ুশ) মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে যে তারা উত্তরাখণ্ড সরকারের লাইসেন্স কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছে যে আয়ুর্বেদিক ওষুধের লাইসেন্সের অনুলিপি সরবরাহের জন্য এবং যে ভেষজ ওষুধের দাবি কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সহায়তা করবে তার পূর্ণ অনুমোদিত বিবরণ দিতে। যদিও পতঞ্জলি দাবি করেছে যে তারা এই ওষুধটি জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করেছে। পতঞ্জলির আরও দাবি এই ওষুধটি দিল্লি, আহমেদাবাদ ও মেরঠ সহ দেশের বিভিন্ন শহরের করোনা রোগীদের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে এবং এনআইএমএসের র্যান্ডোমাইজড ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও গিয়েছিল, যদিও কোনও ক্লিনিক্যাল টেস্টিং ডেটা প্রকাশিত করা হয়নি।
পতঞ্জলিকে নোটিশ আয়ুষ মন্ত্রকের
এর আগে ওষুধের উপাদান ও তা লঞ্চ করার আগে যে গবেষণা চালানো হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পতঞ্জলিকে বলল কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক। আয়ুষ মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক বলেন, ‘এটা খুবই ভালো ব্যাপার যে বাবা রামদেব নতুন ওষুধ তৈরি করেছেন কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী আয়ুষ মন্ত্রকের কাছ থেকে প্রথম অনুমোদন পেতে হবে।' তিনি জানিয়েছেন যে পতঞ্জলি মন্ত্রকের কাছে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠিয়েছে, মন্ত্রক বিষয়টি দেখছে এবং রিপোর্ট দেখার পরই অনুমোদন দেওয়া হবে।
করোনায় রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৬০০-এর পথে! সুস্থতার নিরিখে জাতীয় গড়ের থেকে অনেক এগিয়ে বাংলা