গত দশ বছরে সিয়াচেন হিমবাহে মৃত্যু হয়েছে ১৬৭ জনের বেশি সেনার
গত দশ বছরে সিয়াচেন হিমবাহে মৃত্যু হয়েছে ১৬৭ জনের বেশি সেনার
আবহাওয়া–সংক্রান্ত ঘটনায় গত ১০ বছরে সিয়াচেন হিমবাহে মৃত্যু হয়েছে ১৬৭ জনেরও বেশি সেনার। মঙ্গলবার এক সূত্র মারফত এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি এখানে তুষার ঝড়ে মারা গিয়েছেন ৪ জন সেনা এবং দু’জন কুলি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মারা গিয়েছেন ছ’জন অফিসার সহ ১৬৭ জন।
যদিও কি কারণে এই মৃত্যু সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও, মনে করা হচ্ছে যে প্রাকৃতিক–বিপর্যয়ের কারণেই সব মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই সময় ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সোমবার চারজন সেনা ও দু’জন কুলির মৃত্যু হয় তুষার ধসে। সিয়াচেনের উত্তরভাগে এই ঘটনা ঘটে। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৯ হাজার ফিট ওপরে ওই জায়গায় তখন পেট্রোল ডিউটি চলছিল। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ আটজন পেট্রোল টিমের ওপর তুষার ধস ধসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে কুইক রেসপন্স টিম এসে বরফে চাপা পড়া সেনাদের উদ্ধার করে। আটজনকে উদ্ধার করে তৎপরতার সঙ্গে পাঠানো হয় মিলিটারি হাসপাতালে। যেখানে ছ’জনকেই মৃত ঘোষণা করা হয়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় মৃত্যু হয় তাঁদের। বিশেষজ্ঞরা মঙ্গলবার এখানে এসে জানিয়েছিলেন যে জীবনহানি এড়াতে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা দরকার, যখন উচ্চতর অঞ্চলে কাজ করার সহজাত বিপদগুলি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সিয়াচেনে মোতায়েন সেনাদরা প্রায় রোজই তুষার ধস ও তুষার ঝড়ের সম্মুখীন হচ্ছে। বরফে আটকে থাকা কোনও সেনা বা অন্য কাউকে উদ্ধার করার জন্য সেনাবাহিনী তুষার ব্যাগ ও তুষার আক্রান্তকে সনাক্ত করার প্রযুক্তি সরবরাহ করে।
নর্থান সেনা কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ডি এস হুডা বলেন, 'তুষার এবং তুষারপাতের অধ্যয়ন সংস্থা (এসএএসই) তুষার আবৃত অঞ্চলগুলির ওপর নজরদারি রাখে এবং সিয়াচেনে তুষার ধস আসার আগেই সেনাদের আগে থেকে সতর্ক করে দেয়। সিয়াচেনের সেনাদের জন্য এই আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহাররে ফলেই সিয়াচেনে সেনা মৃত্যুর হার অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।’ অতীতে, তুষারপাতে কেবল টহলরত সেনারাই নয়, সেনা পোস্টগুলিতেও আঘাত করেছিল। ২০১৬ সালে, উত্তর সিয়াচেনে সেনাবাহিনীর একটি শিবিরে তুষারপাতের ফলে দশজন সেনা বরফেই জীবন্ত কবর হয়।
ম্যালেরিয়া রোধ করতে হলে খেতে হবে বাড়িতে তৈরি স্যুপ, জানাচ্ছে সমীক্ষা