ভূত বিশারদ গৌরব তিওয়ারির মৃত্যু, 'প্রেতাত্মার প্রভাব' দাবি বাবার
নয়াদিল্লি, ১১ জুলাই : 'ইন্ডিয়ান প্যারানর্মাল স্যোসাইটি'-র প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও গৌরব তিওয়ারির (৩২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিজের দ্বারকার বাড়িতে গত ৭ জুলাই মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে তাঁর দেহ। গৌরব কীভাবে মারা গিয়েছেন তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে এখনও এর সঠিক কারণ খুঁজে বের করা যায়নি। [বিশ্বের অন্যতম সেরা ১০টি গা ছমছমে জায়গা]
বিভিন্ন টিভি শো-য়ে ভূত নিয়ে নানা রহস্যের কিনারা করেছেন গৌরব। গত বৃহস্পতিবার তাঁর লাশ পাওয়া গিয়েছে বাড়ির বাথরুমে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌরবের গলায় কালো দাগ পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, পুলিশ রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মারা যাওয়ার আসল কারণ 'অ্যাসফিজিয়া'। এর ফলে শরীরে অক্সিজেনের খামতি দেখা দেয় ও মানুষ জ্ঞান হারায়। এই কারণে ভুত বিশারদ গৌরবের প্রাণ গিয়েছে। [ওরা আসে আঁধারে, তাই সূর্যাস্তের পর ঢুকতে মানা ভানগড়ে]
পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ বাথরুমে জোরে চিৎকার শোনেন তাঁরা। দরজা খুললে দেখা যায়, গৌরব মেঝেয় পড়ে রয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকেরা। [ভূতের ছবি দেখতে গিয়ে মৃত্যু, উধাও মৃতদেহও!]
গৌরবের বাবা উদয় তিওয়ারির মতে, গৌরব মাসখানেকল আগে নিজের স্ত্রীকে জানিয়েছিল, কোনও এক 'অশুভ শক্তি' তাঁকে সেটির দিকে টেনে নিতে চাইছে। তিনি তার উপর নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও পারছেন না। [রাতের আঁধারে ঘোরে ওটা কে, জানতে তৎপরতা পুলিশের]
এই বছরের জানুয়ারি মাসে বিয়ে করেছিলেন গৌরব। এই ঘটনার কথা শুনে গৌরবের স্ত্রী বিশেষ পাত্তা দেননি। মনে করেছিলেন কাজের চাপে ক্লান্ত বলেই গৌরব এসব বলছেন। সেই ভেবে তিনি বাড়ির কাউকে এই বিষয়ে জানাননি।
প্রসঙ্গত, ভূতের নেশা যেন পেয়ে বসেছিল গৌরবকে। তিনি একসময়ে পেশায় বিমান চালক ছিলেন। বিশ্বজুড়ে ৬ হাজারের বেশি ভুতুড়ে জায়গায় তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন। ভূত ও এই সম্পর্কিত বিষয়ে গবেষণা ও খোঁজ নেওয়ার জন্য তিনি ২০০৯ সালে 'ইন্ডিয়ান প্যারানর্মাল স্যোসাইটি'-র প্রতিষ্ঠা করেন।
এই প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমজনতার মন থেকে ভুত সম্পর্কিত ভাবনা দূর করার প্রচেষ্টায় ব্রতী হয়েছিলেন গৌরব। শেষে তাঁকে কিনা প্রাণ দিতে হল 'অশুভ শক্তি'-র হাতে!