এই পদ্ধতি ভোট হলে বেড়ে যেতে পারে গণনার সময়, বিপাকে কমিশন
ভিভিপ্যাট মেশিনের সঙ্গে থাকা পেপার ট্রেইল স্লিপ গণনা করতে গেলে ভোটের ফল ঘোষণায় ৩ ঘণ্টা বেশি সময় লাগবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এখনটাই খবর
একটি নির্বাচন ক্ষেত্রের সব বুথে ভিভিপ্যাট মেশিন থাকলে নির্বাচনের ফল ঘোষণায় কমপক্ষে তিন ঘন্টা দেরি হতে পারে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ এমনটাই বলছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু কেন্দ্রের সবকটি বুথে ১০০ শতাংশ ভিভিপটের ব্যবহার এবং পেপার ট্রেইল স্লিপ গণনার চিন্তাভাবনা করছে। পেপার ট্রেইল স্লিপ গণনাতে দেরির জন্যই সময় লাগবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে নিজেদেরই একটি কমিটি গড়ে দেয়। কমিটির কাছে পেপার ট্রেইল স্লিপ গণনার সময় নিয়েও একাধিক প্রস্তাব ছিল।
পোস্টাল ব্যালটের মতো, পেপার ট্রেইল স্লিপ যদি প্রথমে গণনা করা হয়, তাহলে প্রথম ট্রেন্ড আসতে বেলা ১১ টা হয়ে যাবে। এখন ইভিএম-এ গণনা শুরুর আধ ঘণ্টার মধ্যেই সেই ট্রেন্ড পাওয়া যায়। এমনটাই জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা।
বেলা এগারোটা পর্যন্ত ট্রেন্ডের জন্য অপেক্ষা করতে হলে, গণনা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষামান বিভিন্ন দলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়বে। সেই কথাও মাথায় রেখে এগোতে হচ্ছে কমিশনকে। অন্যদিকে, ইভিএম-এ গণনা শেষ হওয়ার পরও যদি পেপার ট্রেইল স্লিপ গণনা করা হয়, সেই ক্ষেত্রেও তিন ঘণ্টা বেশি সময় লাগবে। এক রাউন্ড হাতে গণনা করতে যেসময় লাগে, সেই হিসেবের ওপর নির্ভর করেই গণনার জন্য সম্ভাব্য সময়ের কথা বলছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশন খুব শীঘ্রই ভিভিপ্যাট এবং পেপার ট্রেইল স্লিপ গণনার জন্য নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে।
নির্বাচন কমিশনের গঠিত কমিটি প্রত্য়েক কেন্দ্রের ৪ থেকে ৫ শতাংশ বুথে পেপার স্লিপ গণনা আবশ্যিক করতে চায়। আপ ইতিমধ্যেই এই পরিমাণ ২৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার দাবি করেছে। তবে কোন কোন বুথে এই ব্যবস্থা লাগু হবে তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি কমিশন। প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি ঠিক করার ব্যাপারেও চিন্তা ভাবনা করেছ কমিশন।