শেষ এডিমএমকে-র পালানিস্বামী-পনিরসেলভাম দ্বন্দ্ব, ২০২১-এ মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী শশীকলা ঘনিষ্ঠ
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তামিলনাড়ুর আসন্ন নির্বাচনের জন্য কোমর কষে ময়দানে নেমে পড়ল এআইএডিএমকে। এবং ভোট যুদ্ধের দামামা বাজানোর আগেই অধিনায়ক ঘোষণা করল দলটি। এবং জানিয়ে দেওয়া হল যে ২০২১ সালের নির্বাচনের জন্য দলের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী হতে চলেছেন কে পালানিস্বামী।
ঘোষণাটি করেন পনিরসেলভাম
প্রসঙ্গত, ঘোষণাটি করেন পনিরসেলভাম। তিনি নিজে এই পদের জন্য অন্যতম দাবিদার ছিলেন। জয়ললিতার মৃত্যুর পর রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছিলে পালানিস্বামী-পনিরসেলভামের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে। দুই নেতাই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি জানিয়ে বসেছিলেন। যা পরিস্থিতি ছিল তাতে দল ভাঙার উপক্রম হয়েছিল। সেই সময় কতকটা বিজেপির মধ্যস্থতাতেই পনিরসেলভাকে বুঝিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য রাজি করানো হয়েছিল।
পনিরসেলভামের টুইট
এদিকে গীতার শ্লোক টুইট করে এই বিষয়ে পনিরসেলভাম লেখেন, 'যা হয়েছে, তা ভালোর জন্য হয়েছে। যা হচ্ছে, তাও ভালোর জন্যেই হচ্ছে। ভবিষ্যতে যা হবে, তাও ভালোর জন্যই হবে।' প্রসঙ্গত, এর আগে ১১ সদস্যের স্টিয়ারি কমিটি গঠন করা হয়েছিল দলের এই কোন্দলের মাঝেই। সেই কমিটির দায়িত্ব ছিল মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
শশীকলা ফ্যাক্টর
এদিকে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল, দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি প্রাক্তন এআইডিএমকে নেত্রী শশীকলা আর কয়েক মাসেই জেল থেকে ছাড়া পাবেন। আর তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। ২০১৬-র ডিসেম্বরে জয়ললিতার মৃত্যুর পরে মুখ্যমন্ত্রী পদ দখলের চেষ্টা করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত শশীকলা। কিন্তু বেঙ্গালুরুর আদালতে দুর্নীতি মামলায় তাঁর কারাদণ্ডের আদেশ সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
বিদ্রোহী পনিরসেলভম
সেই সময় শশীকলার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী পনীরসেলভম। এআইডিএমকে থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পনীরসেলভম গোষ্ঠী। কে পলানিস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়োগ করেছইলেন শশিকলা। কিন্তু পরে ফের এআইডিএমকেতে যোগ দেয় পনীরসেলভমের গোষ্ঠী। পলানিস্বামীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হন পনিরসেলভম।
অকালি-এলজেপির বিকল্প পেয়ে গেল বিজেপি! এনডিএ জোটের নয়া সদস্য ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে