পাক হাই কমিশনের বাণিজ্য কর্তা ছিল ভারতে ISI-এর গোপন এজেন্ট!
সঈদ ফুরুখ হাবিব, আইএসআই-এর শীর্ষ কর্তা এবং ভারতে পাক চর চক্রের মাথা। কয়েক বছর আগে এই ব্যক্তিই ভারতে পাক হাই কমিশনের বাণিজ্যিক উপদেষ্টা ছিল।
নয়াদিল্লি, ২ নভেম্বর : সঈদ ফুরুখ হাবিব, আইএসআই-এর শীর্ষ কর্তা এবং ভারতে পাক চর চক্রের মাথা। কয়েক বছর আগে এই ব্যক্তিই ভারতে পাক হাই কমিশনের বাণিজ্যিক উপদেষ্টা ছিল। [কীভাবে গোপনে প্রতিরক্ষার গোপন তথ্য পাচার করত পাক চরেরা, সূত্র পেলেন গোয়েন্দারা]
ভারত-পাক বাণিজ্যিক সম্পর্কের দায়িত্বে ছিল এই হাবিব। কয়েকদিন আগে ভারতে পাকিস্তানে হাই কমিশনের কর্মরত যে মেহবুব আখতারকে চরবৃত্তির জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল (যদিও কুটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকায় পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়) তাকে হাই কমিশনে ঢোকানোর পরই হাবিবকে বের করে আনা হয়েছিল সেখান থেকে।
এই তথ্য সামনে আসাতেই একটা বড় প্রশ্ন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারত কীভাবে পাকিস্তান তাদের চোরা অপারেশন চালানোর জন্য জমি তৈরি করছিল। এর আগে ওয়ানইন্ডিয়ার একাধিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে সন্ত্রাস মডিউল তৈরি করা এবং চরচক্র গড়ে তোলার জন্য কীভাবে ভারতের পাক হাই কমিশনকে ব্যবহার করা হত। [পাক হাই কমিশনের 'চর' কর্মী কি জঙ্গি মডিউলও চালাচ্ছিল?]
শিল্প ও বাণিজ্যের আড়ালে
পুলিশের জেরার সামনে মেহবুব আখতার জানিয়েছিল হাবিব ভারতের মডিউলের প্রধান হিসাবে কাজ করছিল। ভারতে তাকে পাঠানো হয়েছিল বাণিজ্যিক উপদেষ্টা হিসাবে।
গোয়েন্দা আধিকারিকদের কথায়, এই সমস্তটাই চোখ ধুলো দেওয়ার জন্য। ভারতে অপারেশনের কাজ মজবুত করতেই এবং তার পরিচয় গোপন রাখতেই বাণিজ্যিক উপদেষ্টা হিসাবে তাকে পাঠানো হয়েছিল। [খিলজি মডেলে মন্ত্রীদের উপর গোপন নজরদারি চালাতে 'গুপ্তচর' নিয়োগ মুখ্যমন্ত্রীর!]
আখতারের বয়ানের ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছিল। আখতারের বয়ান থেকে এই বিষয়টি পরিস্কার যে পাকিস্তান হাই কমিশনে সবাইকে ক্লিনচিট দেওয়া যাবে না। অনেক আধিকারিকই রয়েছে যারা আসলে পাকিস্তানের আইএসআই এজেন্ট বা আধিকারিক। তারা চরবৃত্তিতে পারদর্শী আর সেই কারণেই তাদের ভারতে পাঠানো হয়েছে। [পাকিস্তানি চর মেহমুদ আখতার সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জেনে নিন একনজরে]
ভারত অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে নিজের কড়া মনোভাব পাকিস্তানের কাছে জাহির করবে। তাছাড়া হাই কমিশনে পাকিস্তানের তরফে কাউকে পাঠানো হলে তা নিয়ে আগাম নজরদারি চালাবে ভারত যাতে মেহবুব আখতারের মতো ঘটনা আর না ঘটতে পারে।