লোকসভা ভোটের আগে শক্ত হচ্ছে মোদী বিরোধী জোট! ১৯টি দলকে নিয়ে হওয়া বৈঠকে কী বার্তা মমতার?
২৪ এর লক্ষ্যে ফের একবার মহাজোট! ভার্চুয়ালি হলেও রাজধানীর বুকে একসঙ্গে মোদী বিরোধী জোটের বৈঠক। আর একবার নয়, গত একমাসের মধ্যে দু'দুবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধায়। যা কিনা রাজনৈতিক ভাব
২৪ এর লক্ষ্যে ফের একবার মহাজোট! ভার্চুয়ালি হলেও রাজধানীর বুকে একসঙ্গে মোদী বিরোধী জোটের বৈঠক। আর একবার নয়, গত একমাসের মধ্যে দু'দুবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধায়। যা কিনা রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এই বৈঠক শুধু মমতা-সোনিয়ার মধ্যে নয়, ভার্চুয়ালের মাধ্যমে মোট ১৯টি দলের নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে হাতে আর মাত্র আড়াই বছর।
ইতিমধ্যে দিল্লির মসনদ থেকে মোদী হঠাওয়ের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর সেই লক্ষ্যে সবাইকে একজোট হওয়ার ডাক তাঁর। আর এই পরিস্থিতিতে ১৯টি দলের এই বৈঠক রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভোটের আগে মোদী-শাহকে এক প্রকার বার্তা দেওয়া হল বলেও মনে করা হচ্ছে।
শুধু মনে হওয়া নয়, জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এখন থেকেই পদ্ধতিগত ভাবে জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন। বলেছেন, ''আমাদের সকলেরই নানা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু দেশের প্রয়োজনে এখন যে সময় এসেছে তাতে সকলকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে জোটবদ্ধ হতে হবে।''
তবে এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোনিয়া গান্ধীর মতো তিনিও একজোট হওয়ার ডাক দেন সমস্ত দলকে। প্রয়োজনে সমস্ত দলকে নিয়ে একজোট হওয়ার বার্তাও দেন মমতা বন্দ্যোপাধায়।
শুধু তাই নয়, একাধিক ইস্যুতে এখন থেকেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে চাপ তৈরি করা উচিৎ বলে দাবি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। এর মধ্যে সব গরিব পরিবারের জন্য আয় সুনিশ্চিত করা ছাড়াও সকলের জন্য করোনা টিকা, কৃষি আইন বাতিল, পেট্রোপন্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মতো দাবিও তোলা হয়েছে।
শধু তাই নয়, পেগাসাস ইস্যুতেও আন্দলন জারি রাখতে হবে বলে বিরোধী দলের বৈঠকে দাবি সুপ্রিমোর। এক্ষেত্রে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে আন্দোলনের কথাও বলেছেন মমতা।
উল্লেখ্য, ২১ এর জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সবাইকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। রোগ সেরে যাওয়ার পর ডাক্তার ডেকে কোনও লাভ হবে না। মোদী বিরোধী জোটের জন্যে কার্যত সব করতে প্রস্তুত তিনি! এমনটাও বার্তা দিয়েছিলেন।
কে মুখ হবেন তা নিয়ে এখনই না ভেবে আলোচনাতে বসার প্রস্তাব দেন তিনি। আর সেই মতো দিল্লিতে গিয়ে একের পর এক বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক করেছেন সোনিয়া গান্ধীর সঙেও। আর এরপরেই কার্যত এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
উল্লেখ্য, সোনিয়া গান্ধীর ডাকা এই বৈঠকে মমতা ছাড়াও ছিলেন দুই মুখ্যমন্ত্রী মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে ও তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিনও ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। তবে আমন্ত্রণ পেয়েও বৈঠকে সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধিত্ব ছিল না।